একটি অধার্মিক প্রশ্ন
... ঋষি
ধর্ম ও অধর্মের থেকে দূরে যেখানে মানুষ দাঁড়িয়ে
প্রশ্ন করি ,ধর্ম কি ?
প্রাচীন একটা গাছ ,পাখিদের স্যানাটোরিয়ামে ফোটা একটা ফুল ,
এক বৃদ্ধ দূরে তাকিয়ে খুঁজছে শৈশবের শিমুল গাছ
কী গভীর ফুটে আছে লাল হয়ে
ধর্ম তবে কি ?
.
তোমাকে যেখানেই দেখি,অবসন্ন হয়ে পরে বর্তমান
দূরে কোথাও কোনো দেশে কৃষ্ণচূড়া ফোটে,
সাইরেন নিভিয়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স চলে যায় বাইপাসের পাশে জ্বলন্ত রোগ ছেড়ে
আকাশে তখন এক নক্ষত্র খোঁজ ,
তোমাকে যেখানেই দেখি মনে হয়
মাশআল্লা ধর্ম বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে ইন্তেজারের পাশে।
বাইরে একটানা ডেকে যাচ্ছে ফেরিঅলা পুরোনো খবর কাগজ খোঁজে
কাগজের ভাঁজে সভ্যতা শুয়ে থাকবে ঝালমুড়ির ঠোঙায় ,
জানি তুমি দাঁড়াবে না
ফিরতে হবে ব্যস্ত সময়ের ট্রেন
আর আমি টিকিট চেকার।
.
ধর্ম ও অধর্মের মাঝে যখন যখন তোমার কথা উঠল
আমি খেয়াল করলাম তিলফুলে ভরে গেল মাঠ
তুমি এলে
তারপর আর কিছু নাই ,শুধু মেঘ, আর শাদা শাদা মেঘ
উড়ে যাচ্ছে।
অন্তত এটুকুই সান্ত্বনা হোক--মেঘের ওপারে
আমাদের বাড়ি-- ঈশ্বরে বাড়ি
ঈশ্বর তবে ধর্ম না অধর্ম ?
যে মেয়েটা মরণের দড়ি হাতে জীবনকে পাশ কাটাতে চায়
তার চোখের কাজল
রোজ মরণ,
দূরে দাঁড়িয়ে একটা কৃষ্ণচূড়ার গাছ
রক্তাক্ত হয়ে উঠছে একা
জীবনকে পুলিশ ভেবে পালিয়ে যাচ্ছি আমি।
No comments:
Post a Comment