তুমি হাসলে বলে
... ঋষি
.
শব্দরা অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠে হঠাৎ
হঠাৎ নিয়ম ছাড়া বুকের ভিতর পাখিদের কিচিরমিচির,
ছায়া ফেলে রৌদ্র বিকেলের বারান্দার টবে রাখা ম্যানিপ্ল্যান্টে
সবুজ বেড়ে ওঠে মনে গভীরে ,
আঁচড়ে ফুটে ওঠে শব্দমাফিক একটা স্কেচ সাদা পাতায়
তুমি হাসলে বলে।
.
তুমি হাসলে বলে
সারা শহর জুড়ে হঠাৎ ছড়িয়ে পরে গন্ধ ও রঙ,
লুকোনো বেদনাগুলো ঝরে গোটা পৃথিবীর বেরঙিন বৃষ্টির মতো।
তাকিয়ে থাকা দৃষ্টান্তস্বরূপ
ফুরোনো সূর্যের আলোর গাছের সবুজ পাতাগুলো আনন্দে মাতোয়ারা
আমার দুঃখের গবেষণা, সময়ের মাপজোক
সব অকারণ মনে হয় তোমার মুখের হাসিতে।
.
শব্দরা অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠে
দায়হীন নিয়ম বহির্ভূত একটা আয়নায় নিজেকে কেমন সুখী মনে হয় ,
আল্পসের শিখরে তখন সূর্যের শেষ বিকেলের আলোকরশ্মি
তখন আমাকে আনমনা করে।
তুমি হাসলে বলে
হরিণীর কস্তুরী গন্ধ , সদ্য জন্ম নেওয়া আকাশের তারাগুলো
যেন জন্মের মতো মনে হয়
ক্ষণজন্মা।
জানি না এই পৃথিবীতে কে এসেছিলো প্রথম এমন প্রশান্তি নিয়ে
জানি না আমার রাত জাগা স্বপ্নগুলো আজকাল কেন জানি সত্যি মনে হয়
অপার ঢেউয়ের স্তনে,ঢেকে রাখা বরফ
এমন করে শীতল করো না আমায়।
.
জানি ভালোবাসা সময়ের মরশুম কিনা
এই মুহূর্তে আঁচলে পেতেছে চাঁদ, শব্দের অদ্ভুত অনুবাদ
ঠোঁট, আঙ্গুল ,সারা মুহূর্ত জুড়ে তুমি
ছাই লোভী ভিখিরি আমি
তাকিয়ে আছি খুব দূরে যেখানে এই শহর শেষ
এই নগর শেষ ,এই দূরত্ব শেষ
শুধু তুমি হাসলে বলে।
No comments:
Post a Comment