তুমি ছাড়া
.... ঋষি
রৌদ্রের ভিতর, দিগন্তের ছায়ার ভিতর
তোমার উষ্ণ উরু পুড়ে যায় সময়ের কবলিত শহরের বুকে,
বুক বলতে আমার মনে পড়ে
আমার কবিতার শব্দরা যখন তখন তোমাকে চায় চলন্তিকা,
ঠিক যেমন দিকশূন্য পাখি হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে মধ্যরাতে
ঘুমিয়ে থাকা শহর তখন অভিসম্পাতের মতো।
.
দিন কিংবা রাত,,,,,, বিশ্বাস করো
আমার কবিতায় কেউ ছিল না কোনদিন একমাত্র তুমি ছাড়া,
তুমি বলতে মনে পড়লো
যখন আকাশের চাঁদ মুখ থুবড়ে পরে শহরের শেষ রাত্রির শোকে
কিংবা সকালের পাখিগুলোর কিচিরমিচির ঘুম ভাঙায় নতুন দিনের
তখনও কেউ থাকে না আমার কাছে
তুমি ছাড়া আর কেউ আসতে পারে না ।
জানি না আমার এই কবিতায় প্রেম কাঁদছে কিনা
জানতে ইচ্ছে করে না আজকাল আর মানুষ কাঁদছে কিনা,
জানতে ইচ্ছে করে না অন্য কোন কথা
তুমি ছাড়া।
.
বিশ্বাস করো
ইদানিং আর তোমায় ছাড়া আর কিছু মনে করতে চায় না আমি
ইদানিং তুমি ছাড়া আর কিছু ভাবতে চায় না আমি,
সময়ের ঘরে প্রহসন
একলা ঘড়ির মতো দেওয়াল আঁকড়ে টিক টিক
ঠিক যেন ঘন ছায়া অন্ধকার আমার সারা শহরে
তুমি হাসছো।
.
বিশ্বাস করো তুমি ছাড়া আর কিছু ভাবতে ইচ্ছে করে না আজকাল
তুমি ছাড়া বাঁচতে ইচ্ছে করে না,
আজকাল ঋতু পরিবর্তনগুলো কেন জানি তুমি হয়ে যাও
আজকাল পথচলতি একলা বাতাসে তুমি ছুঁয়ে যাও
বারানসী থেকে কোলকাতা
চিতোর থেকে চন্দ্রবিন্দু
তুমি ছাড়া কিছু খুঁজে পাই না আমি।
No comments:
Post a Comment