ছ হাজার ছশো সতেরোবার
... ঋষি
এই যে ছ হাজার ছশো সতেরবার আমি তোমার দিকে তাকিয়েছি
প্রতিবারি ,তারপর বুঝে উঠতে পারি নি
কোন দিকে উত্তর, কোন দিকে দক্ষিন, কিংবা নৈঋত।
আমি শুধু তাকিয়ে থেকেছি তোমার দিকে
অন্ধকার থেকে আলোতে, সাদা পাতার কবিতায়
কিংবা গভীর রাতে হঠাৎ মা হারা শিশুর কান্নায়।
.
এই যে ছ হাজার ছশো সতেরোবার
প্রতিবারে তুমি আদম কাহিনী জুড়ে তুলোধনা করেছ পুরুষকে
আমার কেন যে একবারও মনে হয় নি আমিও যে পুরূষ
বরং প্রতিবারে কঠিন পাথরের উপর ফুটেছে লাল গোলাপ
আমি হেসেছি, শুধু হেসেছি
এক পা, দু পা করে এগিয়ে তোমার বুকের সিঁড়ির ধাপে।
.
কহিনুর থেকে কর্নাটক
কন্ডোম থেকে শ্লোগান
পাশে শুয়ে থাকা মিজোরাম ভারতবর্ষের সাথে একি সুরে গাঁথা
এসব আমি তোমায় কিছু বলতে পারি নি,
ছ হাজার ছশো সতেরোবার, প্রতিবার তোমায় দেখার পর
আমি আরও ভিখীরি হয়ে গেছি
আমি আরও পাগলের মতো লিখে ফেলেছি সাঁরে জাহাসে আচ্ছা,
ভাবনা বদল হয় নি
শুধু একাডেমিতে কবিতার মানুষগুলো বিক্রি হতে শুরু করেছে
শুধু সুনীল দা আর স্বাতী দি হেঁটে গেছে ভিক্টোরিয়া ধরে
অথচ ভিক্টোরিয়ার পাথরের রাস্তায় সেই দাগ থাকে নি।
অথচ ছ হাজার ছশো সতেরোবার
প্রতিবার
তুমি আলাদা করে দাগ কেটে গেছো আমার পাথুরে বুকের খননে
যেখানো আজও তুমি ছাড়া কোন শ্রমিক পাথর ভাঙে নি।
No comments:
Post a Comment