Thursday, September 17, 2020

কবি আর ঈশ্বর



কবি আর ঈশ্বর
.. ঋষি  
দাঁড়িপাল্লাতে দাঁড়িয়ে আছি
একদিক নেমে যাচ্ছে, আমি সরে যাচ্ছি দুর থেকে দুরে, 
 পরিচিত বাতাসের সুরে
রান্নাঘর থেকে শুনতে পাওয়া আগমণী সুর 
বড় বেশি অসময়ের এই সময়। 
.
বুকের বাগানে বেদানা খাচ্ছে ঈশ্বর
আর আমি নিজের বেদনায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছি জীবন, 
 ঠিক এই সময়  স্টেথিসস্কোপ গায়ে নিয়ে সাদা চামড়ার ঈশ্বর
বর্ণপরিচয় খুঁজছে চামড়ার পোড়া গন্ধে, 
হা ঈশ্বর এই বুকে কিছু পাবেন না 
নিকোটিন ছোবল আর অজস্র মৃত কবিতার লাশ ছাড়া। 
.
 কবি ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে একলা বারান্দায় 
ভালো করে খবর নিয়ে জানবেন কবিদের বারান্দা শূন্য চিরকাল। 
ঈশ্বর চলে যাচ্ছেন সিঁড়ি বেঁয়ে 
 সিঁড়িঘরে জমানো আছে একটা গোটা জীবনের ধুলো
পুরনো বইয়ের টেবিলে রাখা অসংখ্য অনুভুতিতে ভরা খাম বন্ধ চিঠি। 
কবি ছাদের উপর দাঁড়িয়ে এখন 
সকালের একলা আর্তনাদ, বিকেলের না বলা কথা
আজ এতগুলো বছরে ঝগড়া ছেড়ে কবি  দেখছে ঈশ্বর এগিয়ে যাচ্ছে
ডাক্তারের জামা পড়ে।  
ডাক্তারের কাছে কবি এক রোগী, কবির কবিতা সব পাগলামি
অথচ কবি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে 
হঠাৎ আকাশের শরতের মেঘ থেকে অসময়ের বৃষ্টি নেমে এলো
কবি দেখছে এতগুলো বছর সে ভিজছে, 
কবি দেখছে ঈশ্বররুপী প্রেম রাস্তা দিয়ে একলা যেতে যেতে ভিজছে 
অথচ কবি ভিজছে একলা প্রেমে 
শব্দের গভীরে অন্য কোথাও।

No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...