Thursday, September 3, 2020

কলকাতার রচনা

 


কলকাতার রচনা 

... ঋষি 


আমার ভালোবাসার রঙ কলকাতা  শহরে মুহূর্তে থাকে 


বিল্ল  পত্রের মতো যার সবুজ যজ্ঞের ধুনিতে ঘি আগুন সহযোগে লাল রং ।


আমি কলকাতা  শহরে ঢের রং দেখেছি 


দেখেছি ফ্যাশনে মোড়া প্রতিটি গলির মোড়ে অজস্র মৃতদেহ 


দেখেছি স্লিভলেস কাটা পিঠ ,ডেনিম জিন্সে মোড়া চৌড়া বুক

কিন্তু আশ্রয় ছাড়া । 


এই শহরে বারুদ দেখেছি


দেখিছে বুলেটের আঘাতে কোন নিরীহ মৃত্যু 


আর বুকের ক্ষত আটকে  লিপস্টিকে মোড়া তোমাকে বারংবার । 


.


কলকাতা শহরে পুলিশ আছে 


আছে পানের দোকান ,রিক্সাওয়ালার আর মুহূর্তের  রাস্তায় পানের পিচের দাগ 


কলকাতায় সি আইডিরা সতর্ক থাকে 


 কলকাতার মন্দির ,মসজিদ ,গির্জায় থাকে ধর্ম নামক মানুষের পাপ ।


অতচ আমি তোমাকে একলা দেখছি চিরকাল  


স্বপ্ন দেখেছি কলকাতার বুকে তোমার আলতা পড়া পায়ের ছাপ।  


.


কলকাতায় যারা তারা  গ্রাম নিয়ে ঠাট্টা করে কারণ


তারা জানে না সবুজ রং এর মানে  ,


আরো অদ্ভুত হলো ওদের কাছে প্রেম সময়ের পিক পকেটের মতো 


যার প্রতিস্থাপনে ঈশ্বর নয় 


শুধু সাজানো ধর্ম থাকে। 


এই শহরে নারীরা নিজেদের সিঁথিতে সর্বনাম রাখে 


বুকের গভীর ভাঁজে  রাখে কারণ  


তাদের নূপুরে বাজতে থাকে খিদে আর ট্যাটুতে চাহুনি। 


.


আমার এই সব ভাবলেই জ্বর আসে 


প্লাস্টিক জ্বর 


না আমার সবুজ জ্বর আসে না আজ বহুদিন ,


এই প্লাস্টিক শহরে প্লাস্টিক মানুষের মাঝে আমিও কবে জানি 


প্লাস্টিক চিবিয়ে খেতে শিখেছি ,


তাই শহরের সাজানো জ্বরে আমি আজকাল রচনা লিখি 


মিথ্যে কবিতায়। 


No comments:

Post a Comment

সত্যি তো এমন করে ভাবা হয় নি

সত্যি তো এমন করে ভাবা হয় নি জীবনটাকে শুধু কুড়িয়ে চলেছি আজ বহুযুগ ভিখারির সাজে সত্যি তো বহুদিন তোমার দিকে তাকিয়ে দেখা হয় নি, শুধু টস করা জীবন...