উচ্চারণ
... ঋষি
জীবনে নদীর আর কত সমুদ্রের সামনে দাঁড়াতে হবে
আর কত রবীন্দ্রনাথকে গাইতে হবে বিকৃত করে।
কবির সুমন
নচিকেতা ,শিলাজিৎ
হারিয়ে যাওয়া গান ,নির্ভরশীলতা ,অধিকার ,অঙ্গীকার
আরেকটা বিকৃত সময়।
.
শিশুকাল হত্যা করা বন্ধ করা বাঞ্চনীয়
প্রেমিকার বুকে অবাঞ্চিত পেড়েক ,মুখের লালায় লেগে থাকা দাসত্ব
উচ্চারণ বিকৃতি।
বিকৃত মনস্তত্বে ভেঙে ফেলা নিজের সমস্ত শতাব্দী
উচ্চারণ করার বাকি হাজারো দৃশ্য
স্তব্ধতায় শুয়ে থাকা সময়ের ভাত।
উচ্চারণ বিকৃতি
গোপন করা দরকার অসুখী থাকা মানুষের ব্যাভিচার
নিজেকে কাছে স্বীকার করা দরকার
গঙ্গাতে কোন সন্ধ্যেবেলা একলা মেয়েটার মৃতদেহ ভাসতে দেখে
আদৌ মানুষ ছিল না প্রেম ,
তাইতো আজকাল সময়ের চামড়ায় পোড়া গন্ধ
আর আমার মাথায় ছাগলের চোখ।
.
উচ্চারণ বিকৃতি
সন্মান হারানোর কবিতা
গোপন করতে হবে জমজ ভাটিতে জন্ম নেওয়া মুখোমুখি আমাদের।
উচ্চারণ করতে হবে পুরুষের শরীর তোকে ,
মেনে নিয়ে হবে নারী শরীর আমাকে
এইসব ফতুয়া পড়া শ্রাবন মাসের বর্ষা
ভাঙা বুকে বিজ্ঞাপন,
ভালো আছি।
এর পরও উচ্চারণে আসবে ভাইরাস ও সেক্স
তুমি হঠাৎ পথ চলতি ধাক্কা খাবে পাথরের সাথে ,
আমি পাথরের চোখে পুড়ে দেব আমার সময়ের অঙ্গ নিরভিলাসে
শব্দ হবে না
শুধু নিম্নমধ্যবিত্ত নিরঙ্কুশ মানুষ সাক্ষী থাকবে
অবহেলিত উচ্চারণের।
No comments:
Post a Comment