ঘুম আসছিলো না
... ঋষি
.
ঘুম আসছিলো না তোমার কথা ভেবে
ঘুম আসছিলো না আমার রাষ্ট্রের কথা ভেবে
মুঠো ভরা তাপমান
হঠাৎ শরতের রোদে মেঘ করে আসা অন্ধকার আকাশের কথা ভেবে।
ঘুম আসছিলো না তোমার কথা ভেবে
সভ্যতার দূরে একটা অসভ্য সময়ের মুখোশে আমি নিতান্ত সামাজিক।
.
আলগোছে সরিয়ে রাখা সম্পর্কের ভার
শহরের প্রতিটা প্রাঙ্গনে , সিঁড়ি পারে কেঁপে ওঠে বহুতল ঘুম,
অন্ধকার এই সভ্যতায় বড় একান্ত
কাছে আসে বাসরাস্তা শব্দের রাজপথ ধরে কোনো বিষণ্ণ রাত্রি ,
হাইওয়ের ঘুম হারিয়ে যায়
খোঁজে সবুজ বুক ,খোঁজে সবুজ রাষ্ট্র।
.
ঘুম আসছিলো না
সংকেতে শেখা অনুভূতির চিত্রমালা শুধু কাছে দূরে ,
কতটা জটিল হয় শৈশবে ফিরে আসা অন্য শৈশবের হাত ধরে?
শিশু তো সরল অর্থে সারাদিন শব্দে থাকে
এবং জটিলে সুখ ও স্বপ্ন লেখে কাঁপা কাঁপা হাতের অক্ষরে।
কতটা জটিল হয় একান্ত যৌবন যদি শুয়ে থাকে মাইলফলক বুকে নিয়ে
যদি যৌবনের অধিকার দীর্ঘ ছায়া ফেলে জলে নেমে যায়
যদি যৌবনের ব্যাভিচার ঠোঁটে তুলে নেয় মোম
অকাল বিপ্লব
অকারণ তাপমানে ডুবে যায় তোমাকে লেখা চিঠিগুলো
ফিরে আসে চেনা রিংটোন রাস্তা বন্ধ করে।
.
ঘুম আসছিলো না
ঘুম আসবে না আর কোনোদিন আমার চোখের পাতায়
জীবন শব্দটা হতভম্ব করে দেয়,
কবিতা লেখার মতো শব্দগুলো ডানা ঝাপটে পাখি হয়ে বসে রাষ্ট্রের ডালে ,
এখন তো সভ্যতায় গাছ শব্দটা বোকামির নাম
এখন তো সভ্যতায় গাছ শব্দটা বাড়ন্ত শহরে মৃত্যুর নাম ,
পাখি আকাশে বসে গাছ পায় না
শুধু ডানা ঝাপটায়
হ্যাঁপিয়ে যায় একসময়
তুমি বলো চলন্তিকা শান্ত ,সম্মোহনের ঘুম আসবে কি করে এই সময়।
No comments:
Post a Comment