কবির আর্তনাদ
.. ঋষি
.
ভাবনার দরজা
শব্দ চুরি করছে কেউ, আমার সময় চুরি করছে,
নিশ্চুপ অন্ধকার চুরি হয়ে যাচ্ছে।
অবশেষ ফসিলের উপর পরম যত্নে কেউ লিখে চলেছে
রাতের কলম, থামছে না
লেখা আসছে, প্রেম যেন অস্তিত্বের জেরক্স কপি।
.
অন্ধকার ফুরোলে কবি যে জীবাশ্ম
কিছুতেই বোঝে না চলন্তিকা।
পাথর চাপা ঘাস, সময়ের দীর্ঘশ্বাস,
কৃষকের চোখ, সবুজ গন্ধ, অসহায় মানুষের চিৎকার
শ্রমিকের দ্রোহ, ঈশ্বরের হাতে বোমা
বিস্ফোরণ
সবকিছু সবুজ হলে কবি যে যন্ত্রনা লিখতে পারবে না।
.
উৎসবের আর্তনাদ, দরজায় দাঁড়িয়ে ভাবনা
একান্ত কথোপোকথন
তুমি ভীষন কথা বলো চলন্তিকা রাত ফুরোয় না তাই,
অন্ধকার অন্তরর্বাস ছিঁড়ে সত্যি বেড়িয়ে আসে
সত্যি ভালোবাসে
শব্দরা ঘুমোতে চায়, কবিতারাও
তারপর বিস্ফোরণ , ছড়িয়ে পড়ে মানুষে লাশ
রাস্তার শিশু,শ্রমিকের অধিকার
সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাও, মানুষের অধিকার
মানুষের অধিকার।
সারা সময়ের দেওয়ালে লাল কালির পোস্টার
বেঁচে আসুক মানুষ,
আবার কবিতা জন্মায়
কবির আঙুল বেয়ে কান্না ঝড়ে পরে সাদা পাতায়
জন্মাক কবিতা।
কবির কন্ঠ নীল হয়ে যায়, রক্তবিষ সারা শরীরে
কবিতা বাঁচুক
অন্ধকার কারাগারে কবি শব্দশ্রমিক, বিদ্রোহী সময়ের।
No comments:
Post a Comment