শ্রদ্ধেয় রাহুলদাকে উৎসর্গ করে
তোমার মুখে আবৃত্তি শুনতে চাই
... ঋষি
.
কবিতায় নিভে যাওয়া আগুন
থকথক করছে বুকের ভিতর পুড়ে যাওয়া অজস্র বাঁচা ,
পরিধির বাইরে জীবনটা একটানে খুলে ফেলছে সময়ের ঘোমটা
চুপ থাকছি আমি
আমার বুকের গভীরে জনগণ জাগছে
আবারও জাগছে সময় অনবদ্য একটা শান্তির খোঁজে।
.
তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলো রাহুলদা
আমার বুকের ভিতর তোমার কণ্ঠস্বর যেন সময়ের হ্যামারের আঘাতে জন্ম ,
সত্যি জন্ম খুঁজছে সময়।
উদাত্ত কণ্ঠে বিপ্লবীর চাওয়া, বদলানো সময়
এটা ১৯৭০ না রাহুলদা
এখন সবটাই শুধু কলঙ্ক মেখে তোমার চোখের গভীরে শুয়ে
কেমন যেন একটা বিরক্তি ।
.
আমি হেরে ফিরতে পারি না
সে জালিয়ানওয়ালাবাগের রক্তের মাটিতে আমি ভিজতে পারি
ভিজতে পারি ০.২ পয়েন্ট রিভলবারের সামনে দাঁড়িয়ে দেশদ্রোহীর তকমায়
কিংবা খুব ভোর রাতে আমার আত্মা হেঁটে চলে মধুবংশীর গলিতে
অথচ আমি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র লিখতে পারি না।
আমার বুকের ভিতর মিশর ঘুমিয়ে
ঘুমিয়ে অজস্র ষড়যন্ত্র ,গুপ্তহত্যা
আর অবিকল মৃত আমার মতো দেখতে একটা শরীর।
রাহুলদা আমি চলন্তিকাকে বলেছি
তোর নীলনদ ,তোর উত্তপ্ত বালি ,তোর চোখের নেমেসিস্
আমার মৃত্যুর কারণ।
আমার মৃত্যুর পর একটা আবৃত্তি করো রাহুলদা
সেখানে তোমার গলায় আমি বিস্ময় শুনতে চাই
শুনতে চাই তুমি বলছো
রক্ত ,রক্ত ,রক্ত ,চারিদিকে এতো রক্ত ,
কৃষকের
শ্রমিকের
সাধারণের
আর আমার বুকে এক বুক বারুদ
সময়ের বিস্ফোরণ।
No comments:
Post a Comment