জিনেকে লিয়ে
... ঋষি
.
যারা পারে তারা এমন করে পারে
বালির উপর হাতের তালু দেখতে ,
সহজে লিখতে নিমিত্তের জীবনে নির্মমপরিবর্তন ,
লম্বা চাদর দিয়ে ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার কাছে এক বস্তা শব্দ ছিল
তা দিয়ে শহরের প্রতিটা নাটকে এক ছত্র কবিতা লিখে দিত সে
তারপর খালি পেটে ঘুমিয়ে পড়তো একলা ড্রেনের ধারে।
.
কেউ জানতো না
ওই এক বস্তা শব্দরা আসলে ছেলেটার জীবন ছিল
সে শব্দ দিয়ে ভালোবাসতো প্রতিটা উপস্থিতি
শহরের গাড়িঘোড়া ,বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স ,ম্যানিকুইনের হাসি ,
সেও হাসতো পাগলের মতো ক্লোরোফিলের হাসি
তারপর ক্লোরোফর্ম শব্দের নেশায় হারিয়ে ফেলতো নিজেকে।
.
যারা পারে তারা এমন পারে
নিজের হাতের তালুতে হঠাৎ সময় সরিয়ে আকাশ বাড়ি আঁকতে
সহজে লিখতে যন্ত্রনা বোবা আকাশে পাখিদের সাথে ,
গাছের সাথে সখ্যতায় এঁকে ফেলতে পারে মানুষের শাসন
মানুষের চিৎকারগুলো অনবদ্য ছন্দে এগিয়ে দিতে পারে প্রতিবাদে মিছিলে।
লম্বা চাদর ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার ছেঁড়া পকেটে এক টুকরো পাথরে আছে
শান্তির পাথর ,
সে সময় সময় সেই পাথরটা হাতের মুঠোয় ধরে
তারপর চিৎকার করে
বাড়তে থাকা মধ্যবিত্তের হাঁড়িতে
মানুষের গরম ভাতের স্বপ্নে
নারীর আতঙ্কের দিনরাতে ,
সেই ছেলেটা হঠাৎ মাঝরাতে দাঁড়িয়ে পরে অন্ধকার শহরের রাজপথে
একটা ট্রাক ছুটে এসে পিষে চলে যায় ,
ছেলেটা রাস্তায় রক্তাক্ত তখন
শেষ নিঃশ্বাসে আগে হাসে একবার তার প্রিয় পাথরটা আঁকড়ে ,
ট্রাকের বিহারি খালাসি একবার সময়ের পানের পিক ছুঁড়ে বলে
সমঝে ড্রাইভারজি এ সব লোগ খুব জিতে হ্যা
না হ্যাম লোগোকে জিনে দেতে হে।
No comments:
Post a Comment