Saturday, December 19, 2020

জিনেকে লিয়ে

 


জিনেকে লিয়ে 

... ঋষি 

.


যারা পারে তারা এমন করে পারে 

বালির উপর হাতের তালু দেখতে ,

সহজে লিখতে নিমিত্তের জীবনে নির্মমপরিবর্তন ,

লম্বা চাদর দিয়ে ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার কাছে এক বস্তা শব্দ ছিল 

তা দিয়ে শহরের প্রতিটা নাটকে এক ছত্র কবিতা লিখে দিত সে 

তারপর খালি পেটে  ঘুমিয়ে পড়তো একলা ড্রেনের ধারে। 

.

কেউ জানতো না 

ওই এক বস্তা শব্দরা আসলে ছেলেটার জীবন ছিল 

সে শব্দ দিয়ে ভালোবাসতো প্রতিটা উপস্থিতি 

শহরের গাড়িঘোড়া ,বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স ,ম্যানিকুইনের হাসি ,

সেও হাসতো পাগলের মতো ক্লোরোফিলের হাসি 

তারপর ক্লোরোফর্ম শব্দের নেশায় হারিয়ে ফেলতো নিজেকে। 

.

যারা পারে তারা এমন পারে 

নিজের হাতের তালুতে হঠাৎ সময় সরিয়ে আকাশ বাড়ি আঁকতে 

সহজে লিখতে যন্ত্রনা বোবা আকাশে পাখিদের সাথে ,

গাছের সাথে সখ্যতায় এঁকে ফেলতে পারে মানুষের শাসন 

মানুষের চিৎকারগুলো অনবদ্য ছন্দে এগিয়ে দিতে পারে প্রতিবাদে মিছিলে। 

লম্বা চাদর ঢাকা উন্মাদ ছেলেটার ছেঁড়া পকেটে এক টুকরো পাথরে আছে 

শান্তির পাথর ,

সে সময় সময় সেই পাথরটা হাতের মুঠোয় ধরে 

তারপর চিৎকার করে 

বাড়তে থাকা মধ্যবিত্তের হাঁড়িতে 

মানুষের গরম ভাতের স্বপ্নে 

নারীর আতঙ্কের দিনরাতে ,

সেই ছেলেটা হঠাৎ মাঝরাতে দাঁড়িয়ে পরে অন্ধকার শহরের রাজপথে 

একটা ট্রাক ছুটে এসে পিষে  চলে যায় ,

ছেলেটা রাস্তায় রক্তাক্ত তখন 

শেষ নিঃশ্বাসে আগে হাসে একবার তার প্রিয় পাথরটা আঁকড়ে ,

ট্রাকের  বিহারি খালাসি  একবার সময়ের পানের পিক ছুঁড়ে বলে

সমঝে ড্রাইভারজি এ সব লোগ খুব জিতে হ্যা 

না হ্যাম লোগোকে জিনে দেতে হে। 

 


No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...