একাই হাঁটছি
... ঋষি
চিনি
চোখের শান্তির পাতায় নিরবিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ ঘুমিয়ে আছে
মানুষের মাঝখানে দাঁড়াই
টানাটানির সংসারে এক কাপ চেয়ে চিনিটা তুমুল মনে হয়
বুঝতে পারি না প্রেমিকার ঠোঁট না চিনি
কে দরকারি ?
প্রেমিকা
তুমি অন্যমনস্কতায় হেঁটে যায় আমার বুকে নীল শাড়ি পড়ে
ডালিমের রক্তে ফুটে থাকা সুন্দর।
তোমার শাড়ির কুচি থেকে ছড়িয়ে পরা প্যানডোরা!
আমি আঙুল দিয়ে এঁকে রাখি আমার ঘর,বিস্তর শরীর, একা একটা রাক্ষসের,
অথচ কোথায় যেন আমার ঘুম _ প্রতিবাদী কাব্য মনে হয়।
আসন্ন শীতকাল
আজকাল বড্ড শীত শীত লাগে বুকের ভিতর
পাথরের গায়ে হাত দিয়ে দেখি জীবনের তোমার ডিপফ্রীজে প্রতীক্ষায়
তুমি কড়াইতে তেল ঢালো ,কনুই দিয়ে চুল সরিয়ে নেও দ্বীপান্তরে
অথচ তোমার অন্যমনস্ক চাদরের গায়ে একটা ভাবনা ঘুমোয়
আমাকে ফ্রীজ থেকে বের করো , এখনো তোমার শরীরে আমার উষ্ণ ওমের প্রশ্ন।
সময়
সময় কেটে নিচ্ছে সমস্ত দৃশ্য, জল ,সমতল
মানুষ,মানুষের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ রাগ ,ষড়যন্ত্ররা যাচ্ছে কোথায়?
সময় কেটে কেটে নিচ্ছে সমস্ত দৃশ্য
অথচ মানুষ অথচ মানুষের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ ছায়া ছবি
ছায়ারা থেকে যায় ,ছবিগুলো হারায় ক্রমশ।
বাঁচতে চাই
শান্তি শিশুর মতো হাতপা ছড়িয়ে থাকে ঘুমিয়ে থাকে
হঠাৎ রোদের মতোই এক পাগল এ শহরে হারিয়ে যায়
হঠাৎ রাগের মতো সূর্য তুলি ধরে এই সভ্যতায় মেঘেদের দেশে
বৃষ্টি আসে তোমার জমিতে ,আমার জমিতে বাড়ে দুর্বলতা
আমিও ক্লান্তিতে ভিজি _ বাঁচতে চাই।
No comments:
Post a Comment