Tuesday, March 3, 2020

ন্যাংটো পৃথিবী


ন্যাংটো পৃথিবী
.... ঋষি

চোখ বন্ধ অন্ধকার
জানালা খুললেই দেখা যায় স্বাধীনতা ন্যাংটো হয়ে স্মৃতিসৌধ।
কখনও আলো আলো, কখনও ছায়া ছায়া,
সময়ের শব্দগুলো যন্ত্রনায় নীল।
একটা সাত বছরের যোনি চিৎকার করে কাঁদে
মা তুমি কোথায় ?
নাগরিক পথচলায় মানুষ দাঁড়িয়ে গান্ধীজির  বাঁদর।
আমি ঘেমে নেয়ে  উঠে বসি আমার বিছানায়
পাশে আমার সাত বছরের ছেলে
ভাগ্যিস ছেলে।
.
নীচের ফাঁকা ময়দানে  ‘ ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও ‘ এই সব শব্দের ভাঁজ
চোরাকারবারি ব্যস্ত নিচের ময়দানে সুখের পতাকা দাঁড় করতে ,
মানুষ যদি গুঁড়িয়ে দিয়ে নিষ্কৃতি পেয়ে যেত
তবে আমি আঁতকে উঠতাম না মাঝ শহরের ব্যস্ত রাস্তায়
একজন বার্ধক্য বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়াতে।
শুধু মোমবাতি মিছিল করে কি হবে ?
দৈনন্দিন মানুষের চিৎকারের থেকে বেশি মোমবাতি
এই শহরে যোনি ফুটো করে।
.
পাঠক ভাবছে টিআরপি বাড়াচ্ছে কবি
আসলে কবি নিজের যৌন চাহিদাতে খুঁজতে চাইছে সবুজ মাঠ।
কেউ কেউ বলছে ভীষণ ন্যংটো লিখি আমি
কিন্তু কিছুতেই তাদের বোঝাতে পারি না মানুষগুলো ন্যাংটো যে আজ।
ষড়রিপুর ষড়যন্ত্রে
কাঁপে সময়ের ভাঁজ , ভেজা  ঠোঁট,
তসলিমা  পড়তে পড়তে  পেখম মেলে সাহসী শরীর,
জীবন ফেরে বন্য ময়ূর হয়ে সবুজ অরণ্যে ।
তারপর পৃথিবীর সোনা ঝুড়ি  রোদ ডুবে যায়  অন্ধকারে,
নিঝুম রাতে প্রজাপতি হয়ে যায় মথ,
নদী মরে সাদা জ্যোৎস্নায়।
তবু শালা আমি লিখতে পারি না সময়
ন্যংটো পৃথিবীতে কবিতারা নষ্ট হয়।

No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...