Sunday, April 26, 2020

লালমোহন গাঙ্গুলি


লালমোহন গাঙ্গুলি
... ঋষি
ভাবছি পুরো এপ্রিল মাস কবিতা লিখবো
ভাবছি মে মাসও কবিতা লিখেই কেটে যাবে বুঝলে,
বুঝলে তপসে হাইলি সাসপিসিয়াস  আমার এই ভাবনা
আর বাকিসব জানি না
ভাত থাকবে কিনা, মানুষের  চাকরি থাকবে না, থাকবো কিনা আমি
থাকবে কিনা হোটেলের  পাশের  কার্নিশে দেখা বিড়ালটা
অমিতের মুদির দোকানের সামনে কুকুরগুলো।
.
বুঝলে তপসে আমার ওই নেপালী ছুঁড়িটা মনে হয় না আর দরকার হবে
আত্মরক্ষা শব্দটা এখন শুধু আমাদের চারদেওয়াল,
বাবাকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পাঠাবার ছিল মাসের শেষে ওষুধের জন্য
বোনকে হাতখরচ,কলেজের খরচা দেওয়ার ছিল,
কিন্তু আর দরকার হবে না বলে মনে হয়
মনে হয় এজীবনে আর দেশে ফেরা হবে না।
এই রাজস্থান,বালি, উট
আর আমাদের সোনার কেল্লা খোঁজা হবে না।
.
আচ্ছা ফেলুবাবু  মুকুলের কি হবে?
ও কি সত্যি জাতিস্মর?
কাল সারাদিন ছেলেটা সারা রাষ্ট্রময় ওর পুরনো শহরে মহামারী এঁকেছে,
ওকে তো আর বলে বোঝানো যাবে না এখনকার কথা,
কি যে এক রোগ
সকলেই ঘরের ভিতর।
কি বলো তপসে এখন তো আমাদের একটাই কাজ
ভগবান বলে ডাকা,কি ভাবে বাঁচবো তাই ভাবা,
কিন্তু যারা এখন ফুটপাথে আছে,যারা দিন আনে দিন খায়
তারা বাঁচবে কি করে?
গরীবের ভগবান আছে এসব বকয়াজে আমি মোটেও বিশ্বাস করিনা।
জানেন তো ফেলুবাবু শুনছি অবস্থা মোকাবিলায়  সামরিক বাহিনী নামছে
পুলিশ বাহিনী সিল করে দিয়েছে শহরের অনেক গলির মোড়,
আমেরিকা, সোভিয়েত সব বোধহয় এইবার খালি হয়ে গেলো
তবে আমি লালমোহন গাঙ্গুলি ডরাই না মোটেই।
শুনে রাখো তপসে আমি কলম দিয়ে সভ্যতা তৈরি করবো
এপ্রিল, মে কেন আরো অপেক্ষা করবো
কারণ আমার যে এখনো সোনার সময় দেখা বাকি।
কি বলেন ফেলুদা
সত্যজিৎ বাবু থাকলে বোধহয় এখন বলতেন
কি হে ফেলুমিত্তির এত সহজে তুমি হেরে যাবে।
   

No comments:

Post a Comment

মাংসাশী

. তোমার কোমরের নিচে তিল দেখে  প্রথমেই বোঝা উচিত ছিল আমার তুমিটা শুধু আমার নও , তোমার নবজন্মের আকাশে এক আকাশে এক ঘোর  ঘরের থেকে পরের ঘরে আকাশ...