শ্যোশাল ডিস্টেন্সিং
... ঋষি
এক পা, দু পা করে বৃত্তের ঠিক মাঝখানে
চারিদিকে পর্যাপ্ত স্পেস।
পর্যাপ্ত দুরত্ব মাপকাঠিতে নতুন শেখা শব্দ শ্যোশাল ডিস্টেন্সিং
শব্দ নয়,
ঠান্ডা যুদ্ধ ঘরের ভিতর, বাইরে
আমি, তুমি,আমরা সকলে যোদ্ধা ।
.
ছোটবেলার যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা
আজকের সময়ের শুধু মুখোশ লাগিয়ে নিজের ভিতর যুদ্ধ।
আমরা সকলেই নাগরিক
আমরা সকলেই সামাজক
তবু বুকের ভিতর শ্যোশাল ডিস্টেন্সিং শব্দটা অচেনা নতুন
তবু ভীষণ চেনা,
আমরা কি কোনদিনও সত্যি হতে পারবো ?
.
ফিরে আসা বরফের ঘরে
ফিরে আসতে হয় সকলকে নিজেদের গভীরে বরফের ঘরে।
ঠান্ডা ঘর,
বোধহয় শান্তি শব্দটা আপোষকালীন ঠান্ডা ঘর।
বোধহয় শান্তি শব্দটা এই সময়ের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো
ঘরবন্দী মানুষের অভ্যেসে মৃত মাছের চোখ।
তাই মানুষ একলা হয়ে যায়,
হয়ে যায় অভ্যস্ত আপোষকালীন নিজেদের বেঁচে থাকায়
হয়ে যায় বরফ ঘরের মাছ।
তাই আমাদের মাছেদের সংসার
তাই আমরা সকলে একোরিয়ামে লাল, নীল মাছ,
আমরা নিয়মিত ভীষণ লাল,নীল পাথর,রঙিন জলে
আমরা শৃঙ্খলিত
কিন্তু মৃত।
আমরা শ্যোশাল ডিস্টেন্সিং এ থেকে সকলেই মৃত মাছ
আমাদের চোখে জলের খোঁজ
সমুদ্র, নদী
কিংবা
বৃত্তের বাইরে খোঁজা শান্তি।
No comments:
Post a Comment