মুগ্ধতা
.. ঋষি
.
সময় পেড়িয়ে গেছে বহুযুগ
কাতিল সময় শরীরে টেনে দিয়ে গেছে ব্লেড দিয়ে চেঁড়া অজস্র ক্ষত,
আমি হাসি তবু।
মাথার আধপাকা অগোছায় চুলে হাত বোলালে, তোমার উষ্ণ নিস্তব্ধতায়
চলন্তিকা নিজেকে মৃত মনে হয়
মনে হয় আর বাঁচা কেন, এই শেষ মুগ্ধতা।
.
ফরেন্সিক রিপোর্টে আমার মৃতদেহ থেকে উঠে আসে
আমার স ম য়। আমার রাষ্ট্র।
আমি ঘুম থেকে উঠে বসি রাষ্ট্রর কথা ভেবে
এইবার যুতসই ত্রানশিবির,বৃক্ষরোপণ, রক্তদান লিখতে হবে আমায়,
লিখতে হবে হিমোগ্লোবিন সমৃদ্ধ মা,কর্ম হীনতা মুক্ত পৃথিবী
পৌরুষের সাথে পুরুষ, ভিটামিন সমৃদ্ধ শৈশব
সমস্ত ভন্ডামি সরিয়ে এক শিক্ষিত সমাজ।
.
আমি মুখ ধুয়ে চায়ের কাপে ঠোঁট পুড়িয়ে ভাবি
এইবার সমস্ত মুখোস ছিঁড়ে প্রতিটা মানুষ মুখোমুখি সত্যির সাথে,
এইবার মানুষগুলো সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে মুক্ত পৃথিবীতে
এখন মানুষের মুক্তি, এখন মানুষের শান্ত।
ঠিক এইসময় বেজে ওঠে আমার সাতশো স্কোয়ারফিটের কলিংবেল
দরজা খুলে দেখি আমার কাজের মেয়েটা দাঁড়িয়ে,
আমি প্রশ্ন করি, কেমন আছেন তোমার বাবা?
মেয়েটা ডুকরে কেঁদে ওঠে বলে বাবা আর নেই।
আমি অবাক হই,
কিছুই বদলালো না তবে, পৃথিবীতে কিছুই বদলানো গেলো না।
আমি কবিতা লিখতে বসলাম
খস খস করে লিখে ফেল্লাম আট, দশ লাইন প্রেমের কাব্য,
আমার খাতার উপর আছড়ে পরতে লাগলো আমার বিন্দু বিন্দু রক্ত।
আবার আমি মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে
এখন মুখোমুখি আমার তুমি
আমি কান্না ভুলে গেলাম,ভুলে গেলাম রাষ্ট্র
লিখে ফেল্লাম এই কবিতা আমার রক্তে শুধু তোমার মুগ্ধতায়।
No comments:
Post a Comment