পুরো সুখ
... ঋষি
আগামী কোনো সভ্যতার নিধনে
মেয়েটি বুকের কাপড় সরালো ,নগ্ন হলো সে
সামনে দাঁড়ানো পুরুষটাকে বললো " লে এবারে লুঠ কর "
প্রকাশ্য পুরুষ সমস্ত শক্তি দিয়ে পিষে দিতে লাগলো মেয়েটাকে।
মেয়েটা চিৎকার করলো না
পরুষতার প্রতিটা দাঁতের কামড় তাকে বিষাক্ত করলো বটে
তবে সে এতটুকু কাঁদলো না।
.
সব কিছু পরেও সে নিজের কাপড় সামলে উঠে দাঁড়ালো
কুড়িয়ে নিলো মাটির থেকে সভ্যতার রোজগার
তারপর হাসলো,হাসতে হাসতে
গিয়ে দাঁড়ালো পরের খরিদ্দারের জন্য ,
মেয়েটার মুখে পান ,যতটা সম্ভব বুকের ঢাল খুলে
সে রাস্তায় যাওয়া সভ্যতার পুরুষগুলোকে ডাকছিল
" কি বাবু ,আয় পুরো সুখ।
.
বসিরহাট কোনো এক গলির বেঁড়ার ঘর থেকে শোনা যাচ্ছে এক পুরুষের কণ্ঠস্বর
শালী ,ঘরেতে শরীল খারাপ আমার ,তুই গেছিস রাস্তায় ঢলাতে
মরণ হয় না রে তোর ,
মেয়েটি হাসলো ,খুব শান্ত নামিয়ে রাখলো স্বামীর ওষুধ
তারপর পরিষ্কার হয়ে এগিয়ে গেলো রান্নাঘরের দিকে।
দিন প্রতিদিন মেয়েটা রোজ রাতের বিছানায় ভাঙা টালির ফাঁক দিয়ে চাঁদ দেখে
দিন প্রতিদিন রোজ মেয়েটা রাতের বিছানায় নিজের স্তন খুলে সভ্যতার দাঁতের দাগগুলো মেলাতে চায় চাঁদের সাথে
তারপর হঠাৎ তাকে রুগ্ন স্বামীর দিকে
হঠাৎ সে কাঁদতে থাকে শরীরের ব্যাথায়
হঠাৎ সে তার রুগ্ণ স্বামীকে জড়িয়ে বলে " সব ঠিক হবে রে একদিন "
তবু মেয়েটা হারে না
তবু মেয়েটা যুদ্ধ করে রোজ এই সভ্যতার সাথে
তবে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে মেয়েটা ভাবে
আর পারছি না ,মরি না কেন আমি।
No comments:
Post a Comment