মৃত্যুর দেশের নাগরিক
... ঋষি
তুমি ঘুমোলেই আশ্চর্য আলোতে ভরে ওঠে পৃথিবী
অন্ধকার পুড়ে যায় তোমার আদুরে স্পর্শে
আমি জানি যে গানটা তোমার আলমারির কপাট খুলে ভাসতে থাকে
তার সাথে খাঁচার পাখির খুব একটা মিল নেই ,
একটা অমিল আমার বুকেও বাজে
পুরোনো ভায়োলিন ,পুরোনো সুর ,পুরোনো মৃত্যু
আর ফিরে না আসে।
০
সমস্ত অন্য দিনের পর
আমি বুঝতে পারি বড়োই দেরি হয়ে গেছে
আমি বুঝি ফিরে আসা মানুষগুলো ভাঙা কাঁচের মতো
বড্ড দেরি হয়ে গেছে তোমার
আমারও বলা হয় নি ভালোবাসি
কারণ আমার গুপ্তহত্যায় শুধু সংখ্যার শরিক
সময় নয়।
.
প্রতিটি মৃত্যুই এক হ্যালুসিনেশন
হাঁটতে থাকে ,বাঁচতে থাকা , ভালোবাসি , ভালোবাসে
প্রতিটা একটা মৃত্যুর নাম ,
ক্রমাগত বয়সের সাথে বাড়তে থাকে মানুষের সংগ্রহে
জ্যান্তের পাশাপাশি ,মৃত একটা মিউজিয়াম।
মৃত্যু দায়সারা একটা ভাবনা
দাদু ,দিদা ,ঠাকুরদা ,বন্ধু রাজদ্বীপ,হাজারো কোটি গাছ
হাজারো ঝর্ণা ,হাজারো ফসিল
সমস্ত রাতের মৃত্যুর শরিক
কাটতে থাকা দিন ,বাড়তে থাকা বয়স তার প্রমান ,
আমরা মৃত্যুর দেশের নাগরিক
নিজের অজান্তেই বাঁচার অভিনয়ে ব্যস্ত।
No comments:
Post a Comment