“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা...."
তারপর সম্পর্ক ,
সম্পর্ক শব্দটা কাঁটা ছেঁড়া করে বারংবার আমি অবাক হয়
কেমন যেন স্বার্থপর ,স্বার্থপর মাছের গন্ধ
আর মানুষগুলো সব বেড়াল।
.
দুঃখ এটা নয় আমার কোন বোন নেই
দুঃখ এটা সম্পর্কের একটা পুরো শহর জুড়ে যুগসই একটা কারণ
আর নিয়ম মানুষের বাঁচাগুলো স্বার্থনির্ভর ,
সাবেকি ঘড়ির কাঁটা ,বদলানো ক্যালেন্ডারের পাতা নিয়মমাফিক
আপনি এসে দাঁড়ান ভাইফোঁটা কিংবা অন্য উৎসবে
কিন্তু বছরের বাকিসময়টা ?
.
আমি মানুষের কথা লিখি
লিখতে লিখতে আমি বুঝেছি ওপাশের খগেন এপাশের গ্রামের মৃনালের কাছে ছোটবেলা থেকে ভাইফোঁটা নেয়
তারপর মৃনালের বিয়ে হয়ে যায়
আর ভাইফোঁটা ফুরিয়ে যায় ,
বুঝতে বুঝতে আমি লিখছি চরণদাস তার মা মরা বোনকে অনেক কষ্ট করে শহরে বিয়ে দেয়
আর শহরে বিয়ে করা বোন কোন একদিন গ্রামে এসে বলে
তোদের মতো ছোটোলোক ইতরের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
সেদিন খবরের পাতায় পড়ি ভালো চাকরি হবে বলে
কোনো এক ভাই তার বোনকে পাঠিয়ে দেয় রাত্রিবেলা স্থানীয় বিধায়কের কাছে
তারপর সকালে সেই ভাই চরিত্রহীন বলে বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
.
এমন তো কতকিছু ঘটে ,এমন অনেক কিছু রটে
তবুও সম্পর্ক বদলায় না
তবুও মানুষের সম্পর্কের বিশ্বাস অটুট ,
আমি ঈশ্বরবিহীন কবি অন্ধকার পৃথিবীতে আলো খুঁজি
খুঁজি বাঁচা
আর বিশ্বাস করি ভাই আর বোন এই সম্পর্কটা ,ঈশ্বরের বন্ধন,
আর “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা...."
এ হলো বিশ্বাসের আশ্বাস।
No comments:
Post a Comment