দিওয়ানাপন
... ঋষি
তোমাকে কেন জানি শব্দ মনে হয়
শব্দদের কি সত্যি কোনো শরীর আছে ?
স্লিপারে, পায়ের পাতায়, হাটুতে বা জঙ্ঘায়
তোমার নির্জন আটসাট শরীরে , শব্দ নিঃশ্বাস না রুদ্ধশ্বাস ?
.
অবাক ভাবনা
প্রলেপের পর প্রলেপ শব্দদের সমষ্টি কি করে তুমি হয়ে যাও চলন্তিকা ?
শান্তিনিকেতনি হাতব্যাগে খুলে একডজন সম্ভাবনা ,
শুনতে পাই খুব মৃদুস্বরে
এইতো আমি এসেছি,
কণ্ঠস্বর বাতাসে সাঁতার কাটার শব্দ সময়ের লিপস্টিক ছূঁয়ে দেয়।
.
অদ্ভুত শিহরণ
কোনো অসম্ভব সন্ধ্যায় তোমার বাথরুম শাওয়ারে অন্তলীন শব্দ
অন্তর্বতী বাতিঘর
ওয়েসিস খেজুর বন উন্মাদ। বেসামাল শন শন।
উচ্ছল নায়াগ্রা প্রপাত। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ছলাৎ ছলাৎ।
তারপর হেয়ার ড্রায়ার আর চিরুনির শব্দ
ভেজা চুল বাঁকা গ্রীবা
দু ঠোঁট বন্ধ করে লিপস্টিক মসৃণ করার শব্দ তার
মিলে মিশে একাকার চায়ের কাপে চামচের শব্দ।
.
অসম্ভব দিওয়ানাপন শব্দ ঘোর
ক্রমশ ক্লোজসার্কিটে শব্দগুলো জুড়ে যাচ্ছে আঠার মতো
তুমি,
তুমি আঁকা হয়ে চলেছো শব্দের যন্ত্রনায়।
চলন্তিকা আজ অবধি কেউ ভাবতে পারে না তুমি ছাড়া কবিতা
আমি ,কীট্স ,সুনীল ,শ্রীজাত ,
সকলে শব্দের দাস
আর শব্দগুলো কেন যেন কবিতা হয় জন্ম দেয়
দিওয়ানাপন।
No comments:
Post a Comment