প্রিম্যাচিউর কবিতারা
... ঋষি
১
.
কীভাবে হারিয়ে যাচ্ছি একটু বলি
এইসব অর্ধেক ফাঁকা সন্ধ্যে ,
নিয়মের ঠোঙার মতন ঘর, পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গন্তব্য
দুভাগ করা নদীর সঙ্গমে জল
আমাদের দেখা হওয়াগুলো প্লুটোয় জল থাকার মতো কাল্পনিক।
কয়েকটামাত্র লাইন জড়ো করে শব্দের পিঁপড়েগুলো কোথায় নিয়ে যাবো
দিনগুলো ঠিক যেভাবে দেখতে চাইছি
গলে যাচ্ছে ডার্ক চকোলেট তোমার ঠোঁট বেয়ে।
.
২
.
সত্যিই কি চাইছি অন্য কোন পৃথিবী
গ্রহের রকমফের বায়ুমণ্ডলের স্তরে একটা পাথরের ঘর
নতুন করে একটা পথ হাঁটা শুরু করি
ম্যানড্রেকের ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসুক সাদা পায়রা
বাকুম বাকুম ,
অফিসে ছুটির দরখাস্ত ওয়াকিবহাল
নিরুত্তর প্রলাপ
পথচলা।
.
৩
.
বুঝতে পারছি ভীষণ সত্যি লিখছি আমি
টেবিলের ওপরে বোতলের জলে পৃথিবীর তিনভাগ জল
সত্যিটা এত সহজ না
সকলে বলতে চাই
ঘুরেফিরে ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে আমরা যেটা বলতে চাই
সেই সত্যি।
সিগারেট পুড়িয়ে নিকোটিন বুকে দ্রাব্যতা
তোমার মতো আমিও সংসারী এই সমাজে।
.
৪
.
জলের উপর ঘর
মহাদেশ থেকে তুলে নেওয়া মানচিত্রে আমার হাঁটা ,
আমার ছেলের হাতে গ্লোব
গ্লোব ঘুরছে ,স্ট্যাচু
প্রিন্সিপাল থেকে প্রফিটের দিকে মানুষের লোভ।
হেলে পড়া গল্পগুলো ডাকবাসের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে ব্রায়ের সাইজ
অথচ আমার তালুতে তোমার বুক যেন মহাদেশ।
.
৫
.
একটা অসম্ভবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি
পায়ের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে আমার বিগত কিছু সম্ভাবনা
রৌদ্রনীল তার আভা, দোমড়ানো কাগজের ঠোঙা খুলে
মুড়ি আর মার্কশিট ,
সময়ের ভিতর সময় প্রগলভ বাতিঘর
অথচ আমার মাথার উপর বালবের ক্রনিকাল এক্সরে।
আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে
মানুষগুলো হাতে ভর করে আকাশে পা দিয়ে চলবে
আমি লিখে যেতে পারব,
পকেটে আমার শহর আর অক্সিজেন তোমার চোখে।
No comments:
Post a Comment