বরফ ঘর
... ঋষি
.
অনেক বিবেচনা করে দেখলাম
বেঁচে আছি সেই দরিদ্র খোঁড়া ছেলেটার মতো
যার হয়তো দারিদ্রতা ঘুচতে পারে
কিন্তু ঘুচবে না সাহারায় হাঁটা।
সাহারা একটা মরুভমি
অথচ উটেরা সেখানে কাঁটা চিবোতে থাকে পুরো জীবন।
.
নিজেকে ঈশ্বর ভাবাটা চলন্তিকা বলে অহংকার
কিসের অহংকার?
খোঁড়া ছেলের নাকি সেই কালো মেয়ের
যে প্রতিরাতে নাইটক্রিম ঘষে শুতে যায় স্বপ্ন বুকে
হ্যা বলা হয় নি
দিনের মধ্যে না হলেও একশোবার আয়নায় মুখ দেখে সে।
.
কে ঈশ্বর,?
কাঁদতে থাকা সেই ছেলেটা যে খোঁজে তার শৈশব রাস্তার ফুটপাথে
কিংবা সেই খ্যাপাটে কবি
যে যখন তখন ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে তার বাঁচাটুকু
শুধুমাত্র একটা কবিতা লিখবে বলে।
আমি বুঝি ঈশ্বর হলো সে
যে জানে তার গন্তব্য।
আমি সাধারণ, আমি চিনি আমার ছ ঘন্টার মৃত্যুকে
নিজস্ব ফটোফ্রেমের বাইরে আমি চিনি সেই খোঁড়া ছেলেটাকে
যে উঠে দাঁড়াতে দেওয়াল খোঁজে,
আর সেই কালো মেয়েটাকে
যে নিজেকে বদলাতে দেওয়াল ভাঙতে চায় রোজ।
আসলে ঈশ্বর হলো সময়ের খোঁজ
কিংবা একটা হসপিটাল যেখানে সবাই সুস্থ হতে যায়,
আর আমার মতো যারা
তারা দৈনন্দিন ফেরে হসপিটাল থেকে স্ট্রেচার চড়ে
ঠিকানা বরফ ঘর
কেয়ার অফ কাটানো আরেকটা দিন।
No comments:
Post a Comment