এক দুপুরের কবিতায়
... ঋষি
চূড়ান্ত ঝিমিয়ে থাকা দুপুর
মজলিশ খুলে বসে ওপাশে নারীতান্ত্রিক একটা দুনিয়া ,
পুরুষ আমি ,নারী লিখবো স্বাভাবিক
কিন্তু তোমাকে যে বারংবার শকুন্তলা লিখতে হবে কথা নেই
লিখতেই পারি
পাঞ্চালির মতো বানভাসি এক স্বর্গদুয়ার।
.
পোট্রেটে টাঙানো তোমার ছবি
বেশ লাগে ক্যানভাস গড়িয়ে লাল ,নীল সবুজের তোমায় দখল করে ,
আমার দখলের প্রতি লোভ ছিল না কোনোদিন
আমার কাছে কেওড়াতলা থেকে সোনা পট্টি সবজায়গায় বেনিয়ম ,
এখনো আবিষ্কার করতে পারলাম কই মানুষের জীবন
বেঁচে থাকা ,
কিংবা স্ত্রীর থেকে বেশ্যা কিংবা প্রেমিকা
কে সতী ?
.
পাপ ,পুন্ন আর দেওয়ালে টাঙানো রবীন্দ্রনাথের ছবিটা
কে যে পবিত্র ?
পবিত্র গঙ্গা না সংসারের বমি কুড়িয়ে মানুষের পরিচয়
তোমার রান্নাঘর
তোমার মরুভূমি
কিংবা ওয়েসিস।
চশমা লাগানো চোখে আজকাল আলপিন ফোটে আলোর ঠিকানায়
আলতো ইশারাতে নড়ে চড়ে বসা এক কাঠের পুতুল
সময়ের মানুষ
উড়তে থাকা ফানুস,
আজ বহুদিন একটা গল্প লিখবো বলে ভাবছি চলন্তিকা
কিন্তু গল্পটা হারাচ্ছে জীবন বিপদগামী সীমানা পেরিয়ে
নারী বুকে দীর্ঘশ্বাঃস ব্লাউজের মাপ দিচ্ছে সময়ের দর্জির কাছে
অথচ সহজ সে মাপ ক্রেডিট লিখছে এই কবিতায়।
No comments:
Post a Comment