মাঝরাস্তা
... ঋষি
এই যে দুমদাম আমরা একে অপরকে আঘাত করছি
কিন্তু কেন?
ট্যক্সী থেকে নেমে ওই যে ভদ্রলোক সটান চড় মারলো ড্রাইভারকে
আমরা কি চিনি তাকে?
ওই যে ভদ্রমহিলা দুতলায় একরকম বললেন,চারতলায় একরকম
তুমি কি চেন তাকে?
কে বা কারা যেন ডাক্টারের মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুরাত্রি পর ফেরত দিল
আমরা কি জানি সে কথা?
.
আমরা সব জানি,সব বুঝি
কারন আমরা একতলায় থাকি না আবার দশ তলায় না
আমরা নোংরা বস্তিতে থাকি না আবার তাজমহলে না
আমরা মিটিং মিছিলে থাকি কিন্তু প্রতিবাদে না
আসলে আমরা মাঝখানে থাকি
থাকি আমরা ভয়ে
না আকাশে না মেঘে।
.
আমাদের ভয় হলো এখন অবধি যা কিছু আছে যদি কেউ কেরে নেয়
আর সন্দেহ হলো যদি কেউ আমাদের আগামী স্বপ্নের ভাগ বসায়।
তাই আমরা সামান্য রোগে ডাক্টারের কাছে ছুটি
তাই আমরা বেশ্যা বাড়ি যাই আবার সময়ে লুকোচুরি খেলি,
আমরা ভোট দি রাজনীতি করি না
অথচ রাত করে মেয়েটা বাড়ি ফিরলে তাকে নোংরা বলি।
আসলে আমরা সন্দেহ করি
যে যার মতো নিজের গভীরে পাপ করি
আমরা কল্পনায় পাড়ার উঠতি সেই যুবতীকে ধর্ষন করি
আমরা স্বপ্নে নিজের কোনো সুন্দরী আত্মীয়কে চুমু খাই
সন্দেহ করি নিজের বউকে,নিজের প্রেমিককে।
কিন্তু আমরা কেউ সত্যি বলতে পারি না
শুধু অন্ধকারে মাঝরাস্তার লাইটপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে
খুশি হই নিজের ছায়া দেখে
ভাবি আমার কি, আমি তো বিন্দাস।
No comments:
Post a Comment