তুই জানিস চলন্তিকা আমি তোকেই খুঁজি সারাক্ষন
যা আমি বলতে পারি না কাউকে,
বুকের বালিতে শুয়ে থাকা সেই মেয়েটাকে আমি চিনেছিলাম গতজন্মে
এই জন্মেও শুধু চিনেছি তোকে,শুধু জানাতে পারি নি কাউকে।
বুকের পাথর ভেঙে তৈরি করা আমার নিজস্বতা এক অপরুপ কল্পনা
বড্ড দেরী হয়ে গেছে জানি
তবু সময়কে না করতে পারি নি।
.
অথচ আমি চিৎকার করতে চেয়েছিলাম শহরের উঁচু বাড়িটার ছাদ থেকে,
বলতে চেয়েছিলাম সামনে একলা দাঁড়ানো সন্ধ্যেকে,
আমার কষ্টে ভেজা সময়ের গেঞ্জিকে,
তোর ব্রায়ের স্ট্রাপকে,তোর গায়ের গন্ধকে,তোর বুকের তিলটাকে,
আমার, তোর চারপাশে প্রতিটা জীবিত ও মৃতকে
প্রতিটা ঋতুকে,সময়ের ঘড়ির কাঁটাটাকে
সকলকে
আমি তোকে চিনি শুধু
,এইবার শুধু বাঁচতে চাই।
.
বাঁচতে চাই তোর হাত ধরে
তোর থেকে কাছে, দুরে,
তোর শহরের গলিতে,শহরের প্রতিটা মোড়ে,প্রতিটা দোকানে,প্রতিটা তোর পথ চলায়,
তোর বাড়ির কার্নিশে,তোর কবিতার খাতায়,তোর রান্নাঘরে,তোর বারান্দায়
তোর একলা বিছানায়,তোর বাথরুমের শাওয়ারে
তোর ভেজা চুলে,তোর আনমনা গানে
শুধু তোর সাথে
তোর হৃদপিন্ডে আমার ঘর।
.
চলন্তিকা জানিস তো তোর সাথে যারা, তোর পাশে কারা
তোর হাতের রেখায় কারা, তোর বেঁচে থাকায় যারা
সব আমার ভীষন মেকি মনে হয়,
মনে হয় এ জীবনে ছেঁড়া তারগুলো এইবার গিঁট মারার সময় এলো
মনে হয় নিয়মের ঘুড়িটার এইবার ভোকাট্টা হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়ার সময় হলো
মনে হয় ঘড়ির কাঁটাটা উল্টো ঘুরিয়ে বলি
হাত ধর, চল পালাই
আমাদের অসমাপ্ত গল্পটার ভুমিকা লেখা বাকি
দেওয়া বাকি মুখেভাত, নামকরন তোর সাথে বাঁচার নামে ।
No comments:
Post a Comment