মন হাওয়ায়
.... ঋষি
জীবন বলবেন নাকি যন্ত্রণা
শুনেছি মেয়েরা নিজের পায়ের দাঁড়ানোর থেকে হাওয়ায় দাঁড়াতে ভালোবাসে,
হাওয়ার কথা যখন হলো
তখন বলতেই হয় মেয়েরা আসলে হাওয়ায় ভাসতে ভালোবাসে।
আমাদের পাশের বাড়ির সদ্য যুবতী মেয়েটাকে তাই
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মুঠোফোনে ভাসতে দেখি।
.
আসলে কি জানেন ব্রহ্মা যখন পুরুষ তৈরি করছিলেন
তখন নারীদের কথা ভুলে গিয়ে সমস্ত অধিকার পুরুষকে দিলেন,
তারপর নারী তৈরি করতে গিয়ে
তিনি হাওয়ার থেকে নিলেন নারীর মন।
তিনি বৃষ্টি থেকে নিলেন নারী মনখারাপ
নদীর থেকে নিলেন নারী শরীর
সাপের থেকে নিলেন নারীর দংশন
গাছের থেকে নিলেন স্নেহ
তারপর সবুজ প্রকৃতি দিয়ে ব্রহ্মা তৈরি করলেন সম্পুর্ন নারী
এইভাবে চলন্তিকা তৈরি হলো আমার।
.
তাই আমি একলা ছাদে তুমুল হাওয়ায় চলন্তিকাকে পাই,
চলন্তিকার মনখারাপের দিনে আমার শহরে তুমুল বৃষ্টি।
তারপর কোন এক রাত্রে আমি চলন্তিকাকে বলি
কোথায় তোর নদী?
কোথায় তোর দংশন?
কোথায় তোর স্নেহ ?
আমি খুঁজতে থাকি তাকে মন হাওয়ার।
চলন্তিকাকে নিয়ে আমি হাঁটতে থাকি শহরের ক্লান্ত নদী তীর ধরে
না না শুধু সংগম নয়
তখন আমার কান্না পায়,
আর তখনি আমার মুঠোফোনটা বেজে ওঠে
মুঠোফোনের স্ক্রিনে ফুটে ওঠে চলন্তিকা তোর নাম
আমি জড়িয়ে ধরি হাওয়াকে, জড়িয়ে ধরি তোকে
কারন মন হাওয়ায় চলন্তিকা আমি পেয়েছি তোর নাম।
No comments:
Post a Comment