সময়ের খবর
... ঋষি
আবার শুরু করা যাবে, কি বলো?
শহরের গলিগুলোতে বিষন্ন দিনগুলো কার?
তোমার, আমার।
সামনের পার্টি অফিসে নেতাজীর বাঁধানো ছবি,রবীন্দ্রনাথও আছে
সামনে বিশাল লাইন
উচ্ছে,বেগুন, পটল,মুলো, সংস্কৃতি চটকানো বড় রাষ্ট্রের বেটারা
টিভি পর্দায় বিলি ব্যাবস্থা বুঝে নিচ্ছে।
.
রাষ্ট্র
পকেটে দলা পাকানো কয়েকখানা গান্ধীজী ।
তৃতীয় শ্রেণীর লাইনে মৃত্যু শব্দটা ঈশ্বরের থেকে বেশি আসে মুখে
আর অশ্লীল শব্দগুলো ঈশ্বরিক মনে হয়।
আমি,তুমি কে চলন্তিকা?
শুধুই সাধারন
আর পরিচয়ের মানপত্রে লেখা আমাদের দাগ নম্বর, গলির নম্বর
আর ভোটার সংখ্যা।
.
রাস্তার মোড়ের কালুদার চায়ের দোকানটা প্রায় দুমাস বন্ধ
ছোঁয়াছুঁয়ির একটা পুরনো রোগ বাতাসে,
আসলে কালুদা স্যানিটাইজ করা চা বিক্রি করতে পারলো কই।
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে
আর আমাদের ঘাড়ে সাধারণ মাথা,
কালুদার মাথায়ও তাই।
তবে কালুদার বৌ চীৎকার করছিল বিছানায় শুয়ে রাষ্ট্রের গলায়
কাল রাতে শুনলাম বলছে
পেটে ভাত না থাকলে মরবে না,
কিন্তু বুধোর সাথে না শুলে,না চো...লে মরে যাবে
কারন দমবন্ধ রাষ্ট্রের সত্যিগুলো শুধুই মিথ্যে জুড়ে সাজানো
.
আচ্ছা চলন্তিকা এখন কি তোমায় চুমু খাওয়ার জন্যও
আমার ঠোঁট স্যানাটাইজ করতে হবে,
এই যে সারা পৃথিবীতে শুনেছি ২২ রকমের চুমু
এখন কি তবে সব চুমুর পদ্ধতিগুলো বদলাতে হবে।
জানো তো চলন্তিকা ছোটবেলা থেকে আজ অবধি
আমাদের হাজার টেনেও কেউ বড় করতে পারে নি
কারন রাষ্ট্রের মরজির কাছে আমরা চিরকাল নগন্য।
তাই আমাদের খিদে পেলে কি এসে যায় রাষ্ট্রের
শুধু খবর আর রাজনীতি ছাড়া।
.
( এই কবিতা নিতান্ত সময়ের মনোভাবের ছবি।অশ্লীলতার দায়
আমার কিন্তু কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নয়,উদ্দেশ্য নয়
কোন রকম রাজনীতির।)
No comments:
Post a Comment