নি র ন্ত র
.... ঋষি
এই যে আমি আমার হাত তোমার দিকে এগিয়ে দিয়েছি
তুমি তাকে লোহা গরম করে ছেঁকা দিতে পারো
কিংবা রাখতে পারো তোমার কষ্টের বুকে।
এই যে আমার হৃদয় হঠাৎ খোলা জানলার পাশে আকাশ দেখে চিৎকার করে
বিনাকারণে ছুটতে থাকে শহরের গলি ধরে
তাকে তুমি খাঁচায় রাখতে পারো কিংবা আকাশে।
.
কেউ দরজার ভিতরে কাঁদে
কেউ দরজার বাইরে থাকে
চলন্তিকা জানো সকলেই দরজার বাইরে বা ভিতরে থাকে।
কোনো আঁচলে বাঁধা চাবিকে কেউ মা ভাবে
কোনো দরজায় দাঁড়ানো লক্ষীর ঝাঁপি দেখে ভাবে সংসার,
কিন্তু কোনটা সত্যি
আর কোনটা মিথ্যে
জানলার বাইরে পাখি দেখে সকলেই আকাশ ছুঁতে চায়।
.
আমি অবাক চিরকালী
কারন সময়ের অভিমানগুলো বরাবর আকাশ ছুঁয়ে মুক্তি খোঁজে।
আমি মানুষের দিকে তাকাই
দেখি তোমার শরীর বেয়ে বেড়ে ওঠা সামাজিক হিসেব
দেখি আমার চারপাশে ক্রমশ বেড়ে ওঠা সময়ের জংগলী গাছ।
আমার অভিমান হয়
আমি ঘর ছেড়ে পালাই খালি পায়ে,নগ্ন শরীরে বহুদুর
আর তখন তোমার বাড়ির থেকে পোড়া মাংসের গন্ধ পাই
দেখতে পাই আমার শরীরে পোড়া দাগ।
জানি সম্বল ফুরিয়ে গেলে মানুষ রাস্তায় এসে দাঁড়ায়
আমার মতো কিছু আছে
যারা সময়ের পাশে সম্বলহীন মাইলস্টোনে দুরত্ব মাপতে চায়
আর কোন বিকেলের কবিতায় লিখতে চায়
শুধু তুই,তুই ছাড়া কেউ না।
No comments:
Post a Comment