লাল রঙের ব্রা আর প্যান্টি
.. ঋষি
রাজস্থান থেকে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে আসা মেয়েটা
গ্রীষ্মের প্রখর রোদে সূর্যের দিকে তাকিয়ে ধর্মতলার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বললো
শালা গরম আর পিছু ছারে না রে।
তার প্রেমিক তাকে ফুটপাত থেকে সত্তর টাকার ব্রা, প্যান্টি কিনে বললো
আরে বিজুয়া এতে তোকে পরী লাগবে রে,
আমরা মেহনত করবো এই শহরে কোন গলিমহল্লায় সংসার পাতবো।
.
এর কিছুদিনের মধ্যে যদি আপনি হাড়কাঁটা গলিতে যান
সেই মহল্লার আটত্রিশ নাম্বার লাল টালির বাড়ির দরজায় আপনি বিজুরিয়াকে দেখবেন
দেখবেন বাড়ির সামনে কাপড় শুকোনোর দড়িতে ঝোলানো পরীর লাল রঙের ব্রা আর প্যান্টি
আর দেখবেন তার প্রেমিক ও দালাল জীতেন কে।
যদি ওই ঘরের দেওয়ালে কান পাতেন শুনবেন বিজুরিয়া তার প্রেমিককে বলছে
কি রে হারামি কত খাবি আর আমার গতর খাটানো পয়সায় বসে
আর যে গতর চলে না রে
এই গরমে সারা শরীরে গোটা উঠছে রে।
.
এর একবছর পরে দেখবেন
একি মহল্লার আটত্রিশ নাম্বার সেই বাড়িটার সামনের কাপড় শুকোনোর দড়িতে ঝোলানো
নতুন লাল রঙের ব্রা আর প্যান্টি।
ভালো করে যদি খোঁজ করেন জানবেন
বিজুরায়া বলে মেয়েটার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আজ একসপ্তাহ
তবে জীতেন দালালের কাছে একটা নতুন কাশ্মীরী মাল আছে
তার নাকি আপেলের মতো স্বাদ
নাম চন্দা ।
চন্দার সাথে দেখা হলে জানতে পারবেন তার বয়স ষোলো
সে নাকি জ্যোৎস্না খুঁজতে এই শহরে এসেছিল
কিন্তু এখন সে জ্যোৎস্না দেখে সকালের শুকনো লাল রঙের ব্রা, প্যান্টিতে
আর প্রতি রাতে অন্ধকারে বুকের উপর খরিদ্দারের মুখে।
.
আসলে এই শহরে চাঁদ, সূর্য দুটো আছে বটে
পৃথিবীর কেউ বোঝে না তাদের একটাই পিঠ,
আর মেয়েদের কথা
মেয়েরা আসলে অজান্তেই
পোশাকের নীচে লাল রঙের ব্রা, প্যান্টি পরতে ভালোবাসে,
ভালোবাসে বিজুরিয়া,চন্দার মতো অনেকে
পৃথিবী নামক গ্রহতে বসে মহাকাশে নক্ষত্র খুঁজতে।
No comments:
Post a Comment