চিৎকার
............ ঋষি
.
২৬ পরগনায় দাঁড়িয়ে ২৪ পরগনার স্বপ্ন দেখি
ক্রমশ গভীর থেকে চিরস্থায়ী ভাবনারা হিসেবে খুলে দাঁড়ায় ,
অনবদ্য কবিতার মতো প্রেম চুঁয়ে আসে মানুষের বাঁচতে চাওয়ায়
আর জীবনের বিষাক্ততায় আসে মানুষের চিৎকার।
মাথার ভিতর ছোট ছোট ফোল্ডারে
যন্ত্রণার জাদুঘর চিৎকার করে নিউরনে বাড়তে থাকে জোনাকির আলো
মিথ্যে "সারে জাহা সে আচ্ছা " ।
.
চিৎকার শব্দটা সাংবিধানিক ভাবনায় একটা চিরকালীন প্রসেস
সময়ে বেতন বৃদ্ধি জন্য চিৎকার মানুষকে করতে হয়
নষ্ট গণতন্ত্রে দাঁড়িয়ে সত্যির বিরুদ্ধে লড়তে সময়ের চিৎকার জরুরী।
চিৎকার জরুরী
একটা ছমাসের শিশুর মায়ের বুকের দরকারে ,
শোষণের প্রতিবাদ
ধর্ষণের প্রতিবাদ
মানুষের প্রতি দুর্যোগের প্রতিবাদ চিরকালীন শুধু
মানুষের চিৎকারে।
.
চাকরি চলে গেছে গড়পাড়া লেনের সংসারী মানুষটার
সোমলতার মায়ের চিকিৎসার জন্য আরো টাকা জরুরী,
জরুরী
রাষ্ট্র বলে চিড়িয়াখানার বিরুদ্ধে মানুষের বাঘের নখের
যার আঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা যায় সময়ের বুকের প্রতিটা নকল বদল ।
বদলে ফেলা যায় ভেজা বারুদের বদলে
মানুষের খোলসে মৃত মানুষ।
.
এইগুলি সব সত্যি
এইগুলি সব কিতাবে লেখা মানুষের অধিকার।
অথচ সময়ের পাকদন্ডীতে
মানুষ শব্দটা আজ বোবা জানোয়ারের মতো
চিরকালীন ষড়যন্ত্রে।
মেরে দেশ মহান যেখানে কোনো প্রাচীন রাষ্ট্রগ্রন্থের দুর্গন্ধ চ্যাপ্টার
যেখানে একটা মৃত শিশু পড়ে থাকে সময়ের নর্দমায়।
No comments:
Post a Comment