Wednesday, July 8, 2020

বেইজ্জত

বেইজ্জত
.... ঋষি
.
অনেকদিন দেখছি না রেশমি মেয়েটাকে ভাবনার বাজারে। 
হাওড়া ব্রিজের তলায় দাঁড়িয়ে সুতো খুলতে খুলতে
রেশমি বলে মেয়েটাকে বলতে শুনেছিলাম " আমি না হয় শরীর বেঁচে খাই "
কিন্তু শালা ঠুটো জগন্নাথ রাষ্ট্রও তো ইজ্জত বাঁচাতে পারলো কই,
কাস্টমার এক মুখ পানের রসে রেশমিকে ভেজাতে ভেজাতে বলেছিল 
ফাও কথা কস না, সময় নষ্ট হয়। 
.
মন্টু নামের  ছেলেটা যে তার সারা ছেলেবেলা বগল ছেঁড়া জামা পরে ঢেকেছে লজ্জা
যে নাকি  ফ্রি খাওয়ারের লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে তুলে নিয়েছিল  শাসন 
আজকাল শুনতে পাই সে নাকি  বিধায়কের ডান হাত। 
গতরাতে সে তার আঠারোতম মার্ডারটা করে বলেছিল তার সাগরেদকে
কে কি করবে বে? 
আমি শালা আকাশের চাঁদ বেলে খিদে মিটিয়েছি এতদিন 
আজ না হয় এই শুয়ারটাকে আমার বাবা মনে করি। 
.
অনিল ছেলেটা তার কাজের মেয়েটার বুকের দিকে তাকিয়ে ভাবলো
এই রাষ্ট্রে ধর্ষন করা দন্ডনীয় বটে 
তবে নাবালিকা ধর্ষনের মজা হলো মেয়েটা ভয়ে কাউকে কিছু বলবে না
সমাজ বলে কিছু তো আছে,
আর কচি মালের  চীৎকার
উহু, মাইন্ডব্লোয়িং! 
আমি ভাবছি তখন থেকে কবিতা আসছে না কেন 
কেন বুকের ভিতর যন্ত্রনাগুলো দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। 
এটা বুঝতে পারছি কেউ ভালো নেই 
কলকাতা 
বাংলাদেশ 
পাকিস্তান 
না কোন রাষ্ট্র, না কোন মানুষ আর এই বিষাক্ত সময়। 
মানুষগুলো শুধু কাপড় খুলতে ব্যস্ত
সে শহর
সে গ্রাম 
সে প্রতিটা পাড়া মহল্লা 
আজ শুধু নগ্নতা ঢাকার নামে, নগ্ন করছে সময় 
আর সময়ের নগ্নতা থেকে প্রতিদিন জন্মাচ্ছে  
রেশমি, মন্টু আর হাজারো অনিল। 




No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...