নষ্ট কবি ও সময়
....ঋষি
.
মাননীয় সময় ,
.
শব্দরা সহজপাচ্য হলে আপনার বেশ সুবিধা হয়
মানুষের বুকে পেরেক ঠুঁকে খুব সহজে আপনি ভায়োলিন বাজাতে পারেন ,
বাজাতে পারেন মানুষের বুকের পাঁজরের রিডে সরগম কষ্টের দামে
রাস্তার ধারে নিজের শীতঘুম ভেঙে আপনি পুঁতে দেন বসন্তের চারা
ফুল ফোটে
কিন্তু আপনি বোঝেন না আজকাল রৌদ্রও বিক্রি হয় বাজারে।
.
আপনি স্কুলের সিলেবাসে লিখে রাখেন টিবু সুলতান
অথচ সেই স্কুলের একান্ত বাথরুমে লিখে দেন শুয়োরের বাচ্চা ,
শৈশবকে হস্ত মৈথুন করতে শিখিয়ে
বিজ্ঞপনে নিয়ে আসেন লাল রঙের শরীর যুগের চাহিদার কন্ডোম ।
আপনি জানেন সবই
অথচ চোখ বুজে থাকেন
যে দেশে বাঘাযতীন বলে একটা বাঘ ছিল
সেই দেশের বাঘগুলোকে আজ আপনি ছেলেদের প্যান্টের জিপে আটকে রাখেন ।
.
আমার এই কবিতা আমি জানি অসহ্য আপনার কাছে
অসহ্য এই সময় তাকিয়ে থাকা শব্দ প্রেমিক ,প্রেমিকারা কবিতার বুকে ,
আসলে যে সময় মাস্টাররা শিক্ষা খুঁজছে স্বার্থে
সেখানে ফাস্ট বেঞ্চে বসা ছেলেটা হয়তো বলে দেয় টিবু সুলতান কে ছিলেন
কিন্তু লাস্ট বেঞ্চের ছেলেটা জানে মেয়েদের কোনো ঋতুতে রক্ত চাষ হয়।
আসলে মশাই
আপনি সব জানেন ,
জানেন আইনস্টাইন থেকে ফ্র্যাংক রস কিংবা স্ট্যালোন
কিন্তু মানুষকে আজ অবধি বোঝাতে পারলেন না
মনুষ্যত্বের মানে ,
আপনি দেওয়াল খোদাই করে পাথরের বুকে লিখে দিলেন
ওল্ড টেস্টামেন
অথচ মানুষের বুকে লিখতে পারলেন কই
ভালোবাসা কিংবা প্রেম।
শুধু শরীর দিয়ে চিরকাল আপনি সময় সমাজ সাজিয়ে গেলেন
কিন্তু একবারও কোথাও লিখলেন না
শরীর ছাড়া আত্মাও আছে।
..
পুনশ্চ : জানি আমার এই কবিতা এখন হাততালি পাবে জনগণের ,আপনিও সময় হয়তো আছেন সেখানে। কিন্তু মশাই হাততালি দেওয়া ছাড়া পরিবর্তন নয় বিবর্তন আপনি করতে পারেন ,সবটাই আপনার হাতে।
.
ইতি
কোনো এক নষ্ট কবি
No comments:
Post a Comment