Two face
........ঋষি
.
সেই মেয়েটাকে দেখেছিলাম নদীর মতো
আজ যখন বজ্রপাত হয় আমি বুঝি প্রকৃতি জাগ্রত হচ্ছে
সেই মেয়েটার মতো।
আজ যখন ঘুম থেকে উঠে খবরে শুনি
হাবড়া ট্রেন লাইনের পাশে পাওয়া গেছে বছর বারোর ধর্ষিত লাশ
আমি বুঝি সেই মেয়েটা মৃত্যু চোখে তাকিয়ে পৃথিবীর দিকে।
.
পৃথিবীতে দুটো জাত
সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছেন
ঈশ্বর বলছেন অনেকটা ঘোর পথে এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে
নারী ও পুরুষ।
এর মাঝে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই ,আছে পরিচয়
ঈশ্বর ছাতা ছাড়া ,পায়ের কাপড় মাথায় তুলে ফিরে এসেছেন
ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স মতবাদে সিগমুন্ড ফ্রয়েড তুলোধোনা করেছে যৌনতা
কিন্তু এর বাইরে
সেই মেয়েটা শুধু চেয়ে ছিল আজ বহুযুগ একটা আশ্রয়ের খোঁজে।
.
সেই মেয়েটাকেই দেখছি
চেনা মুখ ,চেনা ঠোঁট ,চেনা আঙ্গিকে
অথচ ভীষণ অচেনা,
হাজারো মৃত পুরুষের বুকের উপর দাঁড়িয়ে সেই মেয়ে খোঁজে জ্বালা।
তার চোখ জ্বলতে থাকে ,তার বুক পুড়তে থাকে
হাতে তার নপুংসক পুরুষের রক্তমাখা যৌনাঙ্গ।
চোখে তার আগুন
অথচ সেও প্রেম খোঁজে,
খোঁজে তৃপ্তি সিগমুন্ড ফ্রয়েডের বাইরে এক অন্য পৃথিবীর
যেখানে ঈশ্বর ব্রাত্য,
ব্রাত্য সময়ের ভিড়ে জন্মানো কোনো নারী পরিচয় তার।
আমি জানি সেও ভালোবাসতে পারে
আমি জানি সেও ভালোবাসতে পারতো
আমি চিনি তাকে জন্ম থেকে ,তার ফ্ৰক থেকে ,তার বিনুনি থেকে
তার শাড়ি পড়া ,তার বড় হওয়া,তার সিঁথির সিঁদুর ,তার হাতের চুড়ি।
এই শহরের বুকে খুব সাধারণ সেই মেয়ে
এই সময়ের বুকে খুব সাধারণ সেই মেয়ে
অথচ অসাধারণ কি জানো
আমি চিনি সেই মেয়েটাকে রোজ একটু একটু করে
কি ভাবে নিজেকে বদলায় রোজ সে সময়ের ভিতরে ।
No comments:
Post a Comment