কিস্তিমাত
................. ঋষি
===============================================
সন্ধ্যা নামলেই মেয়েটা সময় ডিঙিয়ে বাড়ি ফেরে
নিজের সাথে যুদ্ধ করে
প্রতিদিন দাবার রাজাকে চিৎ করে চিৎকার করে নিজের ভিতর।
আর আমি হারতে থাকি প্রতিনিয়ত
দাবার ৬৪ ঘরে সাজানো সময়কে আমার ভয় লাগে
আমি পালিয়ে যায় অথচ ফিরে আসি সেই মেয়েটার খোঁজে।
.
কোন এক পাখি নভেম্বরের শেষে শীত স্পর্শ করে
আমি সেই মেয়েটাকে দেখি পাখিটার ঠোঁটে।
আমার বারন্দায় রৌদ্র আসা সম্বল ,
লেপ ,তোশক ,আদর লেপ্টে আমার ঘুম ভাঙে।
রোজনামচায় আমি দেখি
সেই মেয়েটা রান্নাঘরে গান করে ,তার ঘামে কেমন একটা মায়া।
সুগন্ধিত তার স্নানের আসরে ঝরতে থাকা জলের ফোঁটা
কেমন একটা জ্বর লেপ্টে যায় আমার শরীরে।
আমি কাঁপতে থাকি ,ভয় পাই এই পৃথিবীর আলোকে
যদি হারিয়ে যায়
যদি আবার আমার অপেক্ষা এক আলোকবর্ষ।
দেখি সেই মেয়েটা হাসছে
আর কানে কানে ফিস্ ফিস্ ,আমি তো রইলাম তোর গভীরে।
.
প্রতিদিন অফিস ফেরত আমি সেই মেয়েটাকে খুঁজি
নিজের ভিতর ভীষণ যুদ্ধ।
দাবার ঘোড়া এগিয়ে আসে আড়াই দানে ,
আমি এগিয়ে যায় উলটো ঘরে রানীর দিকে,আমার কিস্তিমাত।
সেই মেয়েটা হাসতে থাকে,আমার ভিতর
আর আমি জিতে যাই প্রতিবার।
No comments:
Post a Comment