Tuesday, December 10, 2019

পাগলাগারদ

পাগলাগারদ
............ ঋষি

আমরা আসলে সকলেই ভীষণ অসুস্থ
আমাদের ভিতরে বাস করে এক একটা পাগলাগারদ।
সামনে দিয়ে আপনি দেখবেন সাজানো বাগান
আর পিছন খুললেই একটা ফুটো ,
এটা সমাজের নিয়ম
ভীষণ সামাজিক ।

বারংবার মেয়েটা ফিরে আসে তার প্রেমিকের কাছে
অথচ প্রেমিক হয়তো তখন তার হবু স্ত্রীর বুকে সংসার বুনতে ব্যস্ত।
সেই ছেলেটা যে হন হন করে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে
একটা চাকরি দরকার
বাড়িতে অবিবাহিত বোন,অসুস্থ মা।
সুটবুট পরে হেঁটে যাওয়া সেই ভদ্রলোক তার গাড়িতে জড়িয়ে ধরছে
তার সহকর্মীকে ,
সহকর্মী খুঁজছে একটু নিরাপত্তা ,একটা সারা স্বপ্নকে।
স্বপ্না বলে মেয়েটা রোজ নিয়ম করে বাড়ি বাড়ি বাসন কোসন ধোঁয়
কিন্তু সুযোগবুঝে তাকেও ধুতে হয় বাবুদের বীর্য।
রোজি ভোররাতে বাড়ি ফিরে আবার দুপুরে বিউটিপার্লার যায়
নিজেকে সাজাবে বলে
তাকে তুলতে হবে আগেরদিনের শরীরের কালি।

এরা কারা
আমি ,তুমি , আমরা
এরা প্রত্যেকে একজন করে আস্ত পাগলাগারদ
এরা প্রত্যেকের চোখে ঘুম নেই  কারণ  এদের বেঁচে থাকার সময় এইটুকুই।
সময় সুযোগ মতো প্রত্যেকে এরা বাথরুমে আওয়াজ না করে কাঁদে
আবার প্লাস্টিক স্মাইল সাজিয়ে সমাজের আলোতে দাঁড়ায়।
 নাটক করে নিজের সাথে
নাটক করে সমাজ নামক আয়নায় দাঁড়িয়ে।
নিজেরা রং মাখে ,আবার রং তোলে
ঠিক যেন জোকার।
এরা প্রত্যেকে নিজেদের প্রয়োজনে বড় অভাবী
অভাব এদের বেঁচে থাকার।
দেখুন না অমৃতা হাতের শিরা কেটে রক্তে ভাসছে এই সময়
কারণ  মেয়েটার বাঁচার আর ইচ্ছা নেই।
সত্যি এমন হয়
কি বলবেন মেয়েটাকে
পাগল ,পাগলামি,পাগলী।


No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...