Sunday, December 15, 2019

সমাজের ডাইরি থেকে



সমাজের ডাইরি থেকে
... ঋষি
.
যাপনকে যখন সময়ের দিকে ঝুঁকে পড়তে দেখি
ঝুঁকে পরে  সমাজ নামক শব্দটা শুধু মৃত্যুর দিকে ,
তখন বুকের প্রতিবাদগুলো প্রতিরাতে বেশ্যা হয়ে যায় চারদেয়ালের সামাজিক আঙিনায়।
নিয়মধার্য্য  পুরুষের সঙ্গমে উঠে আসা জান্তব আঙ্গিকগুলো
মনে করিয়ে দেয় মৃত বেঁচে থাকাকে 
অথচ
আবহসংগীতে ছড়িয়ে পড়তে  থাকে মা শব্দের প্রতিধ্বনি।
নিয়মিত চুলচেরা বিশ্লেষণগুলো হাঁপরে পরে  উঠে  আগুন যাপন হতে থাকে
আর আমি বা আমরা
তখন নিয়মধার্য্য সামাজিক বেশ্যা।
.
পানপাতাদুটোর আড়ালে সম্পাদিত গল্পগুচ্ছ
কখন যেন আকাশের বুকে জমা করে অভিমান নিয়মিত সম্পর্ক্যের নামে।
স্নানঘরের কান্নাগুলো কখন যেন মিথ্যা রূপ ধারণ করে
ঘোমটার আড়ালে থাকা আলতা পায়ে।
একটা ঝাপসা বিকেলে রান্নাঘর থেকে অন্ধকার আকাশে বাড়ানো হাত
মনের কোন লুকোনো নক্ষত্রগুলো ঝরতে থাকে সাজানো পৃথিবীতে
সবটুকু মিথ্যে হতে থাকে পুরোনো শরীরে
ঝুলে যাওয়া বুকে দাঁত রেখে যায় সামাজিক কালসিটে
রেখে যায় সামাজিক রীতি
নিয়মিত পৃথিবীতে ।
.
তারপর ক্রমশ পা ফেলে এগিয়ে যাওয়া ভাঙা ছাউনিতে রাখা
সেই পুরোনো পাণ্ডুলিপির কাছে।
সত্যি লিখতে বিদ্রোহ করতে হয় সমাজের সাথে
শুনতে হয় মুখপোড়া ,অলক্ষ্মী।
আমি যখন লিখতে চাইছি একটা বাঁচার দৃশ্য
তখন দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ছে নারী শব্দের কিছু গোপন কথা।
ক্রমশ চিতার কাঠ এগিয়ে আসছে  এক পা ,এক পা করে
ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে আলোতে ভরা স্বপ্নের দরজা।
আমি আরো পুরোনো হচ্ছি
সময়ের সাথে লোক লজ্জা।
৪.
.
পাংশুটে মেঘের দৃশ্য যখন মন খারাপের সময়
বাইরের বৃষ্টি শুধু সময়ের ঋতুতে  দেখতে পাওয়া যায় ।
কোলের সন্তান চিৎকার করে ওঠে খিদে  পায়
খিদে যে আমারও  পায়
বাঁচার।
চিৎকার করা যায় না
জীবন দেখতে পাই গঙ্গার ধারে শ্মশানের চুল্লিতে
দমবন্ধ সাজানো নিয়ম চারিপাশে
বলতে পারি না
প্লিজ আর নয় এইবার মরতে চাই। 

No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...