পরিত্যক্ত হাতঘড়ি
.......... ঋষি
ফিরে আসতে চায় কেন
তোমার চোখের নিচে ঠিকানা লিখছে পরিযায়ী।
কমফোর্ট জোন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস
আর নিঃশ্বাসে লেগে যাচ্ছে জ্যোৎস্ন্যা রাত।
জানি এই কবিতা দাঁড়াবে না
তোমার হাতঘড়ির মডেল চেঞ্জ করলে সময় থামবে না।
.
ফিরে আসতে চায় কেন
প্রশ্ন করেছি নিজেকে ? প্রশ্ন করেছি আমার অমিকে ?
আয়নায় দাঁড়ানো মুখ
স্যাতস্যাতে ,
মেঝেতে ছুঁয়ে থাকা সঙ্গম বাতিস্তম্ভ ছুঁয়ে অন্ধকার হয়ে গেছে
সারা শহরে আঁধার।
মানুষের তৃপ্তি জুড়ে অসংখ্য ছোটছোট চাওয়া পাওয়া
কেউ কারোর মতো হয় না
শুধু মতাদর্শে বিপ্লব আসে ,বিপ্লবী চিরকাল শ্রেণীশত্র সময়ের।
.
হাতে প্ল্যাকার নিয়ে দাঁড়িয়ে সারা ধর্মতলা মোড়
পরিযায়ী দিক বদলাচ্ছে ,আরো গভীরে মরছে আমার কম্ফোর্টজোন।
ওসব বুঝতে চাই না
শুধু জানতে চাই ফিরে আসতে চায় কেন ?
চোখ বন্ধ করলে ভেসে ওঠে পবিত্র মন্দির ,গির্জার ঘন্টা ধ্বনি ,বিকেলের নামাজ
কেমন একটা ঈশ্বর ছুঁয়ে যায় তোমার স্পর্শে।
আমার কোনো ধর্ম নেই
শুধু আছে ছায়াছবির মতো আমার পরিত্যক্ত বেঁচে থাকা।
আমি কখনো জানতে চাই নি
ফিরে আসতে চায় কেন ?
কিন্তু জানতে চায়
পরিযায়ী যদি স্বপ্ন দেখে বাঁচার নেশায় ?
পরিত্যক্ত দেশ ,শহর ,সময়
আমি
পরিত্যক্ত হাতঘড়ি তখন।
No comments:
Post a Comment