ভালোবাসা নামক গাছটা
.... ঋষি
আঠারো বছর আগেকার মৃত প্রেমিকা
যে তার প্রত্যাখ্যানের কারণস্বরূপ হাতে গুঁজে দিয়েছিল একটা চিঠি
সে আজ দাঁড়িয়ে তার হারানো প্রেমিকের সামনে।
এন আর আই স্বামীর টাকায় কেনা জার্মানির কলম
সে তার প্ৰাক্তন প্রেমিকের হাতে গুঁজে দিয়ে বলছে
সব ঠিক তো কেমন আছেন ?
.
সামাজিক আর স্বাভাবিক
এই দুটোর শব্দের গঠনের মধ্যে বিস্তর একটা তফাৎ আছে।
মৃত প্রেমিকার মুখে আগুন দিতে
বুকের পাঁজরের বেশ কয়েকটা রিডে বেজে ওঠে বিসমিল্লাহ
কজন বোঝে ?
এখন প্রেমিকের সাইকেলের চব্বিশটা স্পোকে ভর করে জ্বলতে থাকা দিন রাত
কখন যেন গোটা জীবন শব্দহীন ছটা ঋতুতে বদলেছে কেউ জানে না।
.
জানি আমি কেন সেই প্রেমিকের আয়নায় দাঁড়িয়ে
দেখতে পাচ্ছি চোখের তলায় কালি ,সময়ের ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত মৃত প্রেমিককে ।
আমার প্রেমিকা কবিতা এখন বিদ্রোহিনী
ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো এখন চুলের মুঠি ধরে ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে
ইচ্ছে করে চিৎকার করে বলতে প্রেমিকা নামক মৃত শরীরটাকে
ভালোবাসা আসলে একটা গাছ ,
যার প্রতিটা ঋতুবদলে একটা পরিবর্তন হয়
মাটির টান যদি মরে
তবে গাছ শুকিয়ে মরে যায়
স্মৃতিচিন্হ স্বরূপ পরে থাকে শুকনো শিকড় আর মৃত স্বপ্ন ।
সেই প্রেমিকার দেওয়া জাৰ্মান কলমে আমার এখন লিখতে ইচ্ছে করে
ভালোবাসা কখনো মিথ্যে হয় না
মিথ্যে হয় ভালোবাসার বাড়ানো হাতগুলো
সত্যি হয় মৃত প্রেমিকের বেঁচে থাকা।
No comments:
Post a Comment