দ্বিতীয় দৃশ্য
... ঋষি
.
পাখির আবার কিসের ভয় ,কিসের পরিধি
একটা গোটা আকাশ শুধু তো তারই ।
.
তোর বুকে একদিন ঠিক একটা গোটা শহর লিখে দেবো
লিখে দেবো শত সহস্র যুগ ,
আজ থেকে শত বছর পর যখন তুই আর আমি কেউ নেই
সেদিন একটা পাখি উড়ে আসবে তুমুল ঝড়ে
নিজের ঘরে।
আমি ,তুই তখন আমাদের শেষ বার্ধক্যে হয়তো ফেলে যাবো
দ্বিতীয় দৃশ্য।
.
কাঁপতে থাকা বদলানো ঠোঁটগুলো
আজকের মতো চুষে নিয়ে আমি স্থির হয়ে থেমে যাবো প্রাচীন পাথর।
পাথরের কি বয়স আছে
পাথরের কি মৃত্যু আছে ,
আমি অনবরত চেয়ে থাকবো তোর দিকে এক পৃথিবী পার
সত্যি সেদিন তুই ভয় পাবি।
.
ভয় পেতে দেখিনি তোকে কখনো আমি
তবে তুই বলিস তোর আমাকে ভাবলে ভয় হয়
আমি নাকি পাগল হয়ে যাবো।
আমার চারিপাশে থাকবে না কেউ ,আমার চারিপাশে বাঁচবে না কেউ
সারা শহর তখন শান্ত ক্যানভাসে আঁকা স্বপ্নের ঘর ,
আমি হেঁটে যাবো শহরের কবিতা বুকে
লিখবো এক সমুদ্র শান্তি।
সত্যি কি সেদিন আসবে যেদিন কেউ কোত্থাও নেই
পাখিদের বাসা ভর্তি চিঠি
কবি নীল আকাশের গায়ে রেখে যাবে ঘরে ফেরার ডাক
পাখিরা ফিরে যাবে শান্তির বাসায়।
.
ভয় দেখাস না প্লিজ আমাকে
তুই আমার দিকে এইভাবে তাকাস না
সত্যি বলছি আমি পাগল হয়ে যাবো।
No comments:
Post a Comment