সভ্যতাকে করা প্রশ্ন
... ঋষি
.
এটা একটা অন্য যুগের গল্প
যখন কোনো পুরুষ পেশী জোরে কেড়ে নেয় নারী সম্ভ্রম
যখন কোনো পুরুষ মাঝ রাস্তায় চলতে চলতে হাত ছেড়ে দেয় তার প্রেমিকার
যখন কোনো পুরুষ নিজের স্বার্থে নিজের প্রেমকে ব্যবহার করে
ব্যবহার করে তার নিজস্ব নারীর স্বত্বাকে বিনিমিয়ে প্রথায়
কিংবা বিছানার সামাজিক নারীকে বারংবার ধর্ষণ করে
তখন সমাজ চুপ থাকে
তখন সময় চুপ থাকে
শুধু সাজানো প্রতিবাদে একই ঘটনা বারংবার ঘটে।
.
যখন কোনো নারী চোখের জলে তুলে নেয় নিজের অন্তেষ্টিক্রিয়া
যখন কোনো নারী পরিবারের লাজ বাঁচাতে নিজেকে বলি করে
যখন কোনো নারী সন্তানের খিদের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে
রফা করে নিজের অহংকার নিজের সামাজিক পুরুষের কাছে
নিজের সিঁদুরের কাছে
তখন সমাজ চুপ থাকে
তখন সময় চুপ থাকে
শুধু মাঝের মধ্যে কেউ কেউ সাজানো ভূমিকায় বলে
মেয়ে হয়েছিস সহ্য করতে হয়।
.
আমি সেই সামাজিক পুরুষকে প্রশ্ন করতে চাই
আমি সেই গৃহস্থ ভীতুনারীকে প্রশ্ন করতে চাই
তোমরা কেমন আছো ?
আমি এই সময়কে ,এই সভ্যতাকে প্রশ্ন করতে চাই
তোমরা ভালো আছো তো ?
আমি সেই প্রেমিক পুরুষকে প্রশ্ন করতে চাই ,কেন ?
আমি সেই নারী স্বত্বাকে প্রশ্ন করতে চাই ,কেন ?
.
কেন এক নারীতে পুরুষের বিশ্বাস থাকে না ,
কেন এক নারী স্বত্বায় পুরুষের বিশ্বাস থেকে না
কেন এক নারীর মাঝে পুরুষ বিলীন হয় না
কেন কোনো নারী এতটাই অসহায়
কেন কোনো নারীর কাছে নিজের শরীরের পণ্যতা ছাড়া উপায় থাকে না
উপায় থাকে না পুরুষের চোখের তাকিয়ে বলার " না "।
.
এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও আমরা কেন এতটা অসহায়
কেন আমাদের আয়নায় আমরা মুখোশ দিয়ে সাজানো
কেন আমরা সত্যি বলতে পারি না
কেন নিজেকে বোঝাতে পারি না শরীর আর মন এক না
কেন সময়কে বলতে পারি না সম্পর্ক মানে অসহায়তা না
কেন সভ্যতাকে জানাতে পারি না প্রতিবাদ ,
সভ্যতা মানে তো
মুখ বুজে বাঁচা নয়
সভ্যতা মানে সময়ের চোখে চোখ রেখে বাঁচার অধিকার।
No comments:
Post a Comment