অপ্রকাশিত মনোলগ
....ঋষি
আমি চলে গেলে যদি তুমি আসো,
আগেই বলে রাখি,
আমার ঘর, বই টই খাতা পত্র ঘেঁটে কিছু পাবেনা
সব চিঠি আর ছবি আমি মেল করে দিয়েছি
বাদামী খামে বেনামী ঠিকানাতে …
সমস্ত প্রমাণ আর সম্পর্কের সব ডকুমেন্টস ইত্যাদি আমি
আকাশে উধাও করে দিয়েছি তারাদের মাঝে,
যেখানে কোনো ঋতু সংক্রান্ত বীণা বাজেনা ।
আমার লেখার ভেতর কেউ কখনো তোমার প্রকৃত নামটা
পাবেনা; কেবল তোমার চন্দ্রাভায় সুষম ত্বরণ জাগাতে হলে
যে সব সিডাকসান বাণিজ্য করা নাম ব্যবহৃত হতো সেগুলো ব্যতীত!
ওগুলোতো সব ব্যর্থ কবিজনেরাই প্রয়োজনে কাজে লাগায়,
তাই না?
এতোদিনে আমি
সেইসব অমৃত মতো নিষিদ্ধ অথচ জৈবিক ঘটনাগুলো
বেমালুম নিজেই মুছে দিতে চেয়েছি !
শুধুমাত্র তোমার প্রজন্মের কাছে নয়, আমি এই পৃথিবীতে
কারো কাছে তোমাকে প্রকাশ করে দেবোনা।
এ্যাতোটা নিকটে এসে অমন হাঁটু ভাঁজ করে বসোনা,
আমার খারাপ লাগে, আবার যদি প্রেমের নামে অমন কিছু ঘটে যায়,
বাতাসে তোমার ঘ্রাণে মাশরুম যদি জেগে ওঠে আমিষ যাতনায়।
প্লিজ অশ্রুতে বাঁধন দাও
শুনেছি অফুরন্ত বর্ষার জলে ভিজে ভিজে
বিষ পান করা মৃত মানুষও নাকি বেঁচে ওঠে
আমিতো সেটা আর চাইনা।
‘আহা আমার ভীষন একাকী লাগে মাঝে মাঝে’
এমন কথা আমি কখনো বলিনি!
কে বলেছে কেউ ছিলোনা আমার পাশে?
তুমিতো অহরহ এসে ফের চলে যেতে পাতাবাহারে
শুকনো পাতায়, লাইলাক শাখায়, হলুদ পাখীর পাখায়!
তখন নিকষিত ধাতব কিছু ভেবে
আমি যদি দশটা প্রেমজ ইশারা পাঠিয়ে দিতাম
তোমার উদ্দেশ্যে
তুমি শধুমাত্র কাল্পনিক এক দাম্ভিকা অথচ ভীতা নায়িকা হয়ে
মনে মনে একবার মিহি কন্ঠে শীৎকৃত ‘কুহু’ বলে
চলে যেতে ক্রমাগত এক চিৎকৃত এবং অবাধ্য বিমান বেয়ে
রাতের আঁধারে মেঘের আড়ালে … !
এবার আমাকে মুক্তি দাও, আমিও চলে যেতে চাই
তোমাকে ফেলে, তোমার ওই ধর্নাঢ্য ঐশ্বর্যময় কপাট ভেঙে
রানওয়ে বানিয়ে
ঠিক তেমনই এক রাক্ষস বিমানে উড়ে
যদি বলি ‘বাই বাই’, হাত নেড়োনা, দেখে ফেলবে যে সবাই …
No comments:
Post a Comment