মাতৃত্ব
... ঋষি
অনির্বাচিত পৃথিবীর অধিকারিণী
সেদিন প্রধানমন্ত্রীর দেশউত্থানের আগুনে চিৎকার করে মাইকে বললেন
আমার কাছে প্রতিটা মেয়ে আসলে গর্ভধারিনী
সবুজ শস্যের মাঠ ,
ঠিক সেদিন রাতে লুঠ হয়ে গেলো কোলোয়ারী কয়লার মাইনে মেয়েটার ইজ্জত
সেদিন সেই সোনার শস্যের ক্ষেতে বোনা হলো
কিছু হায়নার নিলজ্জ ভ্রুন
মেয়েটা রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হতে হতে বললো
মা..............।
.
মেয়েটার জ্ঞান ফিরলো সাত দিন পরে কোলোয়ারী হাসপাতালের বেডে
তখন তার শরীরে রেখে যাওয়া শ্বাপদের দাঁতের দাগ
তলপেটে তার মারাত্নক যন্ত্রনা ,
কোলোয়ারী মালিক এলেন একমুখ পানের পিক দেওয়ালে ছিটিয়ে বললেন বুঝলি ফুলি
এই সব কেসকাছারিতে,পুলিশ করে লাভ নাই
বরং আমি কিছু টেকা দিচ্ছি ,তুই শহরে চলে যা ,
ফুলি ক্ষুদার্থ আহত বাঘিনীর মতো বলে উঠলো
শয়তানগুলোকে ছাড়ুম না বাবু।
.
অনির্বাচিত পৃথিবীর অধিকারিণী
এর কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দেশউত্থানের আগুনে চিৎকার করে মাইকে বলেছিলেন
আমার কাছে প্রতিটা মেয়ে আসলে গর্ভধারিনী
সবুজ শস্যের মাঠ ,
আর তার কিছুদিন পরে কোলোয়ারী মাইনের ভিতর পাওয়া গেলো ফুলির উলঙ্গ রক্তাক্ত লাশটা
তার শরীরের নরম মানুষগুলোকে খুবলে নিয়ে গেছে এই নারকীয় ,জান্তব পৃথিবীর দখলদারি ,
সেদিন কোলোয়ারী মালিক কাঠি দিয়ে সুপুরির টুকরো পরিষ্কার করতে করতে থানার বড় বাবুকে বললেন
ব্যাপারটা জানাজানি যাতে না হয় ,
থানার বড়বাবু তার আর্দালিকে বললেন লাশটা পোস্টমর্টেমে চালান কর।
.
ফুলির শরীরটা এখন পরে আছে লাশ কাটা ঘরের টেবিলে
তার ডানদিকের স্তনের একটা অংশ বিচ্ছিরি ভাবে খুবলোনো
তার একটা চোখের মনি উবড়োনো
কোলোয়ারী ডাক্তার ছুরি ,কাঁচি পাশে রেখে তার সহকারীকে বললেন
আরে মেয়েটা তো প্রেগনেন্ট ছিল,,,,,এরা মানুষ ,
ঠিক তখনি এই গনতন্ত্র হুমড়ি খেয়ে পড়লো ফুলির মৃত রক্তাক্ত যোনিতে
ঠিক তখনি দৃশ্যগুলো অদৃশ্য হচ্ছিল ফুলির উবড়োনো চোখের মনিতে
ঠিক তখনি এই নষ্ট পুরুষতন্ত্র অট্টহাসি দিয়ে হুংকার দিয়ে উঠলো
শুধু যোনি ,শুধু শরীর
মিথ্যে মাতৃত্ব
আর তখনি ফুলির ভিতর দিয়ে না জন্মানো সন্তানের ভ্রূনটা ডেকে উঠলো
মা.............।
No comments:
Post a Comment