দেবদাস
.. ঋষি
আমার কবিতা ছেড়ে বহুদিন চলে গেছ তুমিএকাকিত্বর মতো দু:সপ্নরা এখন আমার না লেখা কবিতা
ছোটবেলার পাগলা চঞ্চলদার মতো কবিতা এখন সর্বক্ষন ভয় দেখায়
চলে যেতে চায় কিংবা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলে
পাগলামি ছাড় না হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরতে হবে।
.
যে কোন দিন আমি দেবদাস হয়ে যেতে পারি
কিন্তু তোমাকে প্রশ্ন করা হয় নি ছেলেরাই কেন দেবদাস হয়?
কিংবা শরৎবাবুর কলমের নিবে দেবদাসের মৃতদেহ কেন আজও অপেক্ষায়?
জানি তুমি সংংবাদপত্র পড়, খবর শোন, মুঠোফোনে ধরে রাখো চরিত্রদের
কিন্তু তুমি কখনও বুঝতে চাও নি
আমার থ্যাঁতলানো কলম আজও কেন শব কাটা ঘরে শুয়ে।
.
তুমি বোধহয় জানো না
কতিপয় সমাজ আজও জল খেতে আসে গ্রীষ্মের দুপুরে আমার কবিতায়
তাদের ব্যাস্ত পৃথিবীতে থাকে না কোন একরিয়াম কিংবা কালমার্কস
শুধু থাকে স্বার্থপরতা,
মানুষের কবিতাগুলো আজকাল নর্দমার পাশে মাছি হয়ে ওড়ে
আর ভালোবাসার কবিতারা মেনোপজ রাজনীতি আর ধুরন্ধর বেশ্যার দালাল হয়ে ভরে থাকে সকালসন্ধ্যা।
আর রাত্রি হলে কবিতারা ছেড়ে যেতে চায় আমাকে তোমার মত,
এখন আমার আগুনের মুখোমুখি বারুদের ঘর বাঁধতে প্রশ্ন জাগে
আদৌ কি এগুলো কবিতা?
নাকি মৃতশরীরে শুয়ে থাকা শব্দগুলো আসলে দেবদাসের মৃত্যুর কারণ।
.
আসলে শরৎবাবুর উপন্যাস লেখা স্বার্থক হলেও
আমি এখনও বুঝতে পারি নি আমার কবিতা লেখার স্বার্থটা কি।
No comments:
Post a Comment