অনিন্দ্য (৯)
....ঋষি
অনিন্দ্য বহুদিন ফোন করে না আমায়
তখন অনেকদিন কোন খবর ছিল না সেই মানুষটার,
আমার দিন কাটছিল বেশ
আমার দিন কাটছিল বুবুন, অনিকেত আর সংসারী নিয়ম,
সামনে বুবুনের পাঁচ বছরের জন্মদিন
অনিকেত এক্সাইটেড, সকলেই আশে পাশে খুশি
আমি খুশি
আমি মা যে।
.
বুবুন সুন্দর বড় হচ্ছিল
কিন্তু সময় সময় বড্ড বেশি ওই মানুষটার মতো ব্যাবহার করছিল,
হুহু তার মতো পা মুড়ে বসতো,
সেদিন আমি চমকে উঠেছিলাম ওর হাতে সুনীলের নীরা,
আদো আদো গলায় সে পড়তে চেষ্টা করছিল
বইয়ের নামটা,,,, নী,,রা।
.
পাঁচ বছরের জন্মদিন, প্রচুর আমন্ত্রিত, প্রচুর লোক
কিন্ত কেন জানি মন আনছান করছিল সেদিন,
হ্যাঁ ঠিক সন্ধ্যের মুখে এসেছিল সেই পাগলাটে মানুষটা
আমার হাতে তুলে দিয়েছিল সুনীলে অর্ধেক জীবন
বুবুনকে কোলে তুলে ছল ছল চোখে এসেছিল আমার কাছে
খুব কাছ ঘেঁষে আমাকে বলেছিল
আমি বুঝে গেছি, আমি সব জানি।
আমি অবাক হয়ে চমকে উঠে বলেছিলাম চলে যা, চলে যা
আর আসিস না আমার কাছে
আমি ভালো আছি, আমাকে বাঁচতে দে।
অনিন্দ্য বারান্দা দিয়ে যেতে যেতে আবৃত্তি করছিল উঁচু কন্ঠে
"সিঁড়ির মুখে কারা অমন শান্তভাবে কথা বললো?
বেরিয়ে গেল দরজা ভেজিয়ে, তবু তুমি দাঁড়িয়ে রইলে সিঁড়িতে
রেলিং-এ দুই হাত ও থুত্নি, তোমায় দেখে বলবে না কেউ থির বিজুরি
তোমার রঙ একটু ময়লা, পদ্মপাতার থেকে যেন একটু চুরি,
দাঁড়িয়ে রইলে
নীরা, তোমায় দেখে হঠাৎ নীরার কথা মনে পড়লো। "
No comments:
Post a Comment