Wednesday, February 24, 2021

অনিন্দ্য(৪)

অনিন্দ্য(৪)
... ঋষি 
.
যে সময় সমাজ নিয়ম  আঁকতে থাকে 
সেই একইসময় অনিন্দ্য  লিখে ফেলতে চাইতো তার অজস্র সুখ,
অজস্র শব্দের ঝোঁপজংগলে সে ছবি আঁকতে চাইতো সবুজের
ভাঙতে চাইতো অনিয়ম তার অজস্র চিৎকারে। 
অনিন্দ্য প্রেমিক ছিল সময়ের গভীরে
কিন্তু সেই গভীরতায় দমবন্ধ পাগলামিতে আমি থাকতে পারি নি। 
.
না এটা দুঃখ নয় 
আমার প্রেমিক এবং স্বামী  অনিকেত আমার সময়ের সীমানায় নিয়মিত পুরুষ, 
আর সীমানার বাইরে নারীবুকের স্বপ্ন অনিন্দ্য
অদ্ভুত চোখের চাহুনি, 
এক মাথা না আঁচড়ানো ঝাঁকড়া চুল যেন আফ্রিকার জংগল
আমি জানতাম অনিন্দ্যর বুকে আগুন আছে
তাই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতাম সমাজের আলিংগনে নিয়মবদ্ধ ভুমিকায়। 
.
শেষ অবধি পারি নি আমি 
নিজেকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিগেছিলাম ঈশ্বর  হওয়ার স্বপ্ন, 
স্বপ্ন বিহবল সেই দিন ছিল ২২ শে শ্রাবন 
বিশ্বভারতীর দরজায় হঠাৎ  খপ করে আমার হাত ধরে
অনিন্দ্য বলেছিল হবি আমার নীরা
আমি বলেছিলাম শুরু হলো পাগলামী। 
অনিন্দ্য কিছু শোনে নি সেদিন 
ভাড়া করা এক হোটেলের পর্দার আড়ালে আমাকে পর্দাহীন করেছিল 
আমার বুকে মাঝখানে নাক ঘষতে ঘষতে পাগলেত মতো বলেছিল 
" এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই, শুধু তুমি নীরা। "

No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...