অনিন্দ্য (৭)
..... ঋষি
আমি কি ফিরে পাচ্ছিলাম আমি জানি না
আমার প্রেমিক স্বামী সেই সময় আমাকে অন্যচোখে দেখে ,
তখন কোন এক রাতে শুতে শুতে অনিকেত বললো
তুমি ঠিক আগের মতো নেই ,তুমি আর আমার নেই
তোমার শরীরে অন্যের গন্ধ ,
আর আমি কাপড় গুছিয়ে আয়নায় গিয়ে দেখলাম
আমার চোখে অনিন্দ্য।
.
অনিন্দ্যর শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না
তবু তখনও তার কালিপড়া অন্ধকার চোখের তারায় আমি আগুন দেখতাম
কাজের ,সংসারের ফাঁকে পালিয়ে বেড়াতাম
ছুটে যেতাম অনিন্দ্যর কাছে ,
ভালোবাসা এমন হয় ,ভালোবাসা তেমন হয়
অথচ অদ্ভুত হলো অনিন্দ্যর ভিতরে আমার প্রতি ভালোবাসা ছিল
কিন্তু কখনো কোনো মুহূর্তে সে বলে নি সে কথা আমাকে।
.
সেদিন হঠাৎ মাঝরাতে ফোন
অনিন্দ্যর করুন কণ্ঠ ,বুকে ব্যাথা করছে রে খুব
আমি ছুটে গেছিলাম
অনিকেত বলেছিল যাচ্ছো যাও ,কিন্তু আর ফিরো না ,
আমি কিছু ভাবি নি
হাসপাতালে অনিন্দ্য আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরেছিল
আমি জানতাম তুই আসবি ,
আমি বললাম তোকে বারণ করি ,তবু এতো সিগারেট খাস
অনিন্দ্য বলেছিল
"নীরা, তুমি নিরন্নকে মুষ্টিভিক্ষা দিলে এইমাত্র
আমাকে দেবে না?
শ্মশানে ঘুমিয়ে থাকি, ছাই-ভস্ম খাই, গায়ে মাখি
নদী-সহবাসে কাটে দিন
এই নদী গৌতম বুদ্ধকে দেখেছিল
পরবর্তী বারুদের আস্তরণও গায়ে মেখেছিল
এই নদী তুমি! "
No comments:
Post a Comment