Sunday, February 21, 2021

অনিন্দ্য (৩)

অনিন্দ্য (৩)
.. ঋষি 
অনিন্দ্যর মধ্যে দুটো মানুষ বাস করতো
একটা অদ্ভুত পাগোল আরেকটা ছোট্ট শিশু, 
শুনলে অবাক হবেন আমার বিয়ের নিমত্রনে 
সে এসেছিল খালি হাতে, 
আমার ছোটবেলার প্রেমিক স্বামীকে বুকে জড়িয়ে বলেছিল
যাক বাঁচলাম " নীরা" র গতি হলো 
তার পর শুনিয়েছিল " নীরার জন্য কবিতার ভুমিকা "। 
.
আমি অবাক হই নি অনিন্দ্যর এই আচরনে
অক শুধু বলেছিলাম আজকের তোর নীরার বিয়ে এমন পাগলের মতো কেউ আসে? 
খুব হেসেছিল, তারপর সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে বলেছিল 
আমার মুক্তি রে নীরা এবার, 
এবার আমি আকাশের গায়ে কবিতা লিখবো 
তুই তো এইবার ব্যাস্ত সংসারী 
এইবার আমি পাখি হয়ে আকাশে থাকবো। 
.
বাস্তবিক আমি জানি অনিন্দ্য একটা পাখি ছিল 
কোথাও এক মুহুর্ত স্থির থাকতো না
কি যেন খুঁজতো সাজানো শহরে অলিতে গলিতে ছেঁড়া চপ্পল পায়ে গলিয়ে,
কোত্থায় কোথায় চলে যেত হঠাৎ 
হঠাৎ  আবার একদিন ফিরে এসে বলতো 
বুঝলি তো এই পৃথিবীতে  শুধু কারণ লাগে বাঁচতে 
কেউ কারো জন্য বাঁচে না রে। 
.
অনিন্দ্য র মধ্যে একটা শৈশব দেখতাম
দেখতাম ঋতুবদল যেন অনিন্দ্যের চোখে একটা আশ্চর্য, 
সে অবাক চোখে মানুষ দেখতো 
রাস্তায় পথ চলতি হঠাৎ  কোন দৃশ্যের মাঝে সে দৃশ্য খুঁজতো
খুঁজতো সময়ের চোখে প্রতিবাদ।
অনিন্দ্যের জন্য মাঝে মাঝে আমার কান্না পেত
অনিন্দ্য তখন খুব সহজে উদাত্ত কন্ঠে আবৃত্তি  করতো
" ভালোবাসা নয় স্তনের উপর দাঁত? 
ভালোবাসা শুধু শ্রাবণের হা হুতাশ। "

No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...