হুকুম মেরে আকা
.... ঋষি
পুরোনো রোগের বোতল থেকে গড়িয়ে নামছে অন্ধকার
চলন্তিকা বলে স্থবির আকাশে নক্ষত্রের মানেটা নিজের মতো সকলের কাছে
কারণ আলাদা
ঠিক তাই।
আজকাল কেন যেন লিখতে ইচ্ছে করে না
ইচ্ছে করে না রক্ত ভেজানো কলমকে গর্ভবতী করতে সময়ের বীর্যে
আজকাল কেন যে হঠাৎ আকাশ মনে আসে।
.
সামনের রাস্তায় পরে আছে মাইলফলক
আর রাস্তার শেষ দেখতে কেন যে ভয় করে আজকাল ,
কেন যে সমুদ্রের সাদা সফেনকে অন্ধকার রাতের ধৈর্য মনে হওয়ায়
মনে হয় আমার সবুজ শস্যবতী লক্ষী দেশটা
কেন যে হঠাৎ কুলটা উপাধি পায়
কেন যে হঠাৎ অবেলায় নিজেকে গাংচিল মনে হয়।
.
পুরোনো রোগের বোতলে বন্দি সেই জিন
যে আকাশ খুঁজতে নিজেকে বেঁধে রাখে অস্তিত্বের কারচুপিতে ,
ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত হয়ে পরে আকাশের নক্ষত্র
মানে বদলায়
কেন সাদা কাগজে আজকাল চিৎকার লিখতে ইচ্ছে করে।
জানি আমার এই কবিতা কোথাও দাঁড়াবে না
কেউ অপেক্ষা করবে না এমন রোগের রাজ্য অভিষেকের ,
চলন্তিকা বলে তোর জন্য আমি সময়ের গায়ে ফুটিয়ে তুলবো পুরোনো নিজেকে
চলন্তিকা বলে অন্ধকার থেকে আলোতে আসার পথে হৃদয়ের কাঁটাগুলো
সব দিক্দর্শনের কম্পাস।
আমি হাসি
সময়ের জিনের আবার কম্পাস ,
ক্রমশ আমার হাসি আত্মচিৎকারে বদলায় ,বদলি অট্টহাসিতে
আমি চলন্তিকাকে বলি হুকুম মেরে আকা।
No comments:
Post a Comment