Wednesday, February 24, 2021

অনিন্দ্য (৫)

 অনিন্দ্য (৫)

.... ঋষি 


সবকিছু শেষ হয়ে যায় 

সব পাখি ঘরে ফিরে আসে ,

এক সমুদ্র আকাশ যখন মাথার ভিতর বজ্রপাত ঘটায় 

তখন জন্ম হয় অনিন্দ্যর মতো কারো। 

জীবনের কিছু মোরে কেউ যেন দাঁড়িয়ে থাকে দমকা হাওয়া নিয়ে 

আর সেই হাওয়ায় উড়ে যায় মানুষের অস্তিত্ব। 

.

আমিও ভাসছিলাম তখন 

অনিন্দ্যর চোখ, সে যেন অন্ধকার আকাশে ধ্রুবতারার মতো কিছু 

অনিন্দ্যর বুকের জঙ্গলে শুয়ে থাকা আমার ঠোঁট 

তখন গভীর মরুভূমিতে ওয়েসিস ,

আমি বোধহয় পাগল হয়ে উঠেছিলাম অনিন্দ্যর গভীরে বাঁচতে ,

তখন আমি বিবাহিত ও সামাজিক 

অথচ ভীষণ অসামাজিক এক চূড়ান্ত অসময়। 

.

আমি ছুটে গেছি বারংবার তখন অনিন্দ্যর কাছে 

অনিন্দ্য গভীর ঋষির মতো আমার পানপাত্রে ঠোঁট রেখে লিখে চলেছে 

বাঁচার কবিতা ,

অথচ অদ্ভুত হলো আমি কবিতা হতে চাইতাম না তখন 

ভাবতাম যদি সত্যি .........,

না সম্ভব নয়। 

অনিন্দ্য আমার বুকে মাথা রেখে বলতো 

তুই আমার জ্যান্ত কবিতা 

অথচ আমি তখনও তাকে বলতে পারি নি 

অনিন্দ্য আমার ভিতর তুই বাঁচছিস আজকাল। 

আমার স্বামী অনিকেত তখন বৌ পাগল 

আমাকে মাথায় করে রাখতো আগামী পিতৃসুখে ,

আর অনিন্দ্য আমার গাল টিপে বলতো 

“নীরার অসুখ হলে কলকাতার সবাই বড় দুঃখে থাকে”। 

No comments:

Post a Comment

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম তবুও কই জীবন পেলাম না সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম শরীর, মাংস সব পেলাম  তবুও সেই ম...