কালো ,অলক্ষী ,মুখপুড়ি
... ঋষি
কি চাইলো সময় মনে মনে
সেই কালো মেয়েটার জন্মই যাতে না হয়।
কিন্তু কালো মেয়েটারও জন্ম হয়ে যায় ভুল করে
হ্যা নিতান্ত অনিচ্ছায়।
তারপর সময়ের ইচ্ছায় সেই মেয়েটা হঠাৎ ডাবকা মুখপুড়ি
হ্যা তাই তো বলে শুনেছি মানুষ ,
তারপর সামাজিক অলক্ষী।
কন্যা দায়গ্রস্থ বাপ তারপর ঘুরতে থাকে সময়ের দুয়ারে
কেউ যদি দয়া করে মেয়েটাকে নেয় ,
কি নেবে ?
অবশ্যই ভরণপোষণের ভার নেবে তো কালো মেয়েটার সবটাই নেবে
এই আকাঙ্খায়।
কিন্তু সত্যি এমন ঘটে না
মেয়েটার কালো রংটা বাদ দিয়ে সময় সবকিছু নিতে পারে
অবশ্য অলক্ষীদের এটাই প্রাপ্য।
বড় পক্ষ আসে
মেয়েটার কাছে জানতে চাওয়া হয় চুলের মাপ ,গানের গলার মান
হেঁটে দেখাতে বলা হয়।
সবশেষে বরপক্ষ রায় দেয় আমার ছেলে দুধে ভাতে
আপনার মেয়ের সবই ভালো শুধু রংটা ,ওই আর কি বর পণ যদি ...... .
বিয়ে হয়ে যায় মেয়েটার।
বিয়ের পর ফুল শয্যা থেকে মেয়েটা বোঝে খাটটা নড়ে
কিন্তু কেন জানি মেয়েটার কোন বোধ হয় না,
অবশ্য মেয়েটা মনে মনে মেনে নিয়েছে অলক্ষীদের সাথে এমনি হয়।
বিয়ের তিন মাসে মাথায় মেয়েটা বোঝে সে অন্তঃস্বত্বা
শ্বশুরবাড়িতে শোরগোল ছেলে হবে
মেয়েটাও তাই চাই ,এমন কালো মেয়ে
না একদম মেয়ে হওয়া চলবে না ।
তারপর নিয়মমাফিক ডাক্তার একদিন মেয়েটার পা দুটো তুলে ধরলো
বেরিয়ে এলো ,
না মেয়েটা কাঁদে নি।
শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মেয়েটা চিৎকার করে বললো
না আর না
আর অলক্ষী না
আমি একলাই বড় করবো একে
শুধু কোনো সময়কে বলতে দেব না কালো ,অলক্ষী ,মুখপুড়ি ।
No comments:
Post a Comment